নির্বাচনী আমেজে সরগরম সৈয়দপুর পৌরসভা হাওয়া লেগেছে নৌকার পালে
মোঃ মোতালেব হোসেন, নীলফামারী : উত্তরের গেটওয়ে সৈয়দপুর ১ম শ্রেণির পৌরসভা। ১৯৫৮ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত, বর্তমান ওয়ার্ড সংখ্যা ১৫টি। পৌর নির্বাচনে সৈয়দপুর মেয়র প্রার্থী ৪ জন হলেও প্রতিদ্বন্দি হবে নৌকা ধানের শীষ মার্কার মধ্যে। নৌকা প্রতীক পেয়েছেন পৌর আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা স্থানীয় শহীদ পরিবারের সন্তান অধ্যাপক সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন। যিনি সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য। ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন বিএনপি’র জেলা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার। যিনি ছাত্র জীবনে ছাত্র মৈত্রী থেকে সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান রিক্সা শ্রমিক থেকে সৈয়দপুর পৌর চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে বিএনপি’র রাজনীতিতে যোগ দিয়ে এমপি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে এমপিতে হেরে গিয়ে আবারও মেয়র পদে দাড়িয়ে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র হন। নির্বাচনের আমেজে প্রচার প্রচারনায় মাঠ পর্যায়ে একাধিক ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, চাকুরীজীবি, রিক্সাওয়ালা, শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় প্রচার প্রচারনায় এগিয়ে রয়েছে আওয়ামীলীগের প্রার্থী অধ্যাপক সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন। তার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে তারা ব্যাখ্যা করেন সৈয়দপুর শান্তি প্রিয় একটি শহর। শহরের আমুল পরিবর্তন এ সরকারের আমলেই হয়েছে বেশি বলে অনেক স্বীকার করেন। ইতি পূর্বে আওয়ামীলীগের মেয়র আখতার হোসেন বাদল থাকাকালে সৈয়দপুরের বিশাল সব্জি বাজারসহ উল্লেখ যোগ্য কয়েকটি রাস্তা হওয়ার এখনও মানুষ আখতার হোসেন বাদল তথা আওয়ামীলীগের ওই মেয়র কে স্মরণ রেখেছে। তারা মনে করে আবারও যদি আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে ভোট দেই বা যদি জেতে তাহলে সৈয়দপুর আবারও চোখেপড়ার মত উন্নয়ন হবে। ভজে ভাই তিন তিন বার মেয়র ছিলেন কিন্তু চোখে পড়ারমত কোন কাজ পৌর বাসীকে দেখাতে পারেন নাই। তিনি নির্বাচনে দাড়ালে ভোট চলাকালীন সময় বিহারী বাঙ্গালী একটি ইস্যু তৈরী করেন। তার আমলে সৈয়দপুরে সবচেয়ে বেশী হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। তিনি নিজেও একের অধিক হত্যা মামলার আসামী। ২য় বার পৌর নির্বাচনে জেতে ১নং ওয়ার্ডের এক সাবেক কাউন্সিলরের সঙ্গে নির্বাচনে জেতার পরের দিন বিশাল মটর সাইকেল বহর নিয়ে গিয়ে ফিল্মী ষ্টাইলে উক্ত সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে রাস্তার উপর লাঞ্চিত করলে উত্যপ্ত হয়ে উঠে ১ থেকে ৩ নং ওয়ার্ড এবং এলাকার লোকজন এক জোট হয়ে তাকে আক্রমণের জন্য সৈয়দপুরে ঢুকার চেষ্টা করলে তখনকার আওয়ামীলীগ সরকার দ্রুত রিজাভ ফোর্স, বিজিপি নিয়োগ করে শহরকে শান্ত করে এবং তিনি মেয়র হয়ে নিজেও ২ মাস পুলিশ প্রহরায় নীলফামারী যাওয়া-আসা করেছেন। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় জাতীয় পত্রিকায় উক্ত নেতার নাম গর্ড ফাদার লিষ্টে এসেছিল। ত্রানের টিন চুরির দায়েও ২ বছর হাজত খেটে ছিলেন। নিজের বিশ্বস্ত লোক আবু সাঈদকে দিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট করে নির্বাচন আটকানো চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে এখন তিনি পুরোদমে ভোট করছেন। সৈয়দপুর শহরে রংপুর রোডের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ভজে ভাই পৌর পিতা থাকাকালীন তার সময়কালে সৈয়দপুরে ৩০/৩২টি হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। অনাকাঙ্খিত ব্যতিক্রম ধর্মী কিছু ডাকাতি দুর্ধষ চুরি, দিনের বেলা অস্ত্র উচিয়ে খুন, ছিনতাই এর মত ঘটনা ঘটেছে। ওয়ান এলিভেনের সময় তিনি নিজে দাড়িয়ে থেকে বিএনপি অফিসের সামনে কাপড় মার্কেটের লুটপাট চালিয়েছেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে তিনি হয়ে যান গর্ড ফাদার। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি কিছুটা ম্যানেজ করে চলেন। তার এই সমস্ত কর্মকান্ড নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় প্রভাব ফেলেছে। তাই গত উপজেলা নির্বাচনে শহর এলাকায় বিএনপি হেরে গিয়ে আওয়ামীলীগের উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছে। বর্তমানে আওয়ামীলীগ প্রার্থী এই সমস্ত দিক থেকে প্রচার প্রচারনায় জনসমর্থন বেশি করে পাচ্ছেন বলে মনে করেন। সাধারণ লোকজন মনে করছেন উন্নয়নের স্বার্থে এবার সৈয়দপুর পৌরসভায় নৌকা পালে হাওয়া লেগেছে।