কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র হামলার প্রতিবাদে কাহারোলে পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যেগে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত।
কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের কাহারোলে গত ১১ নভেম্বর/১৫ দিবাগত রাতে উত্তর মহেশপুর সিংড়া কালী মন্দিরে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র হামলা করে কালী মুর্তি ভাংচুর, সোনা-রুপা অলংকার লুন্ঠন করে ও ২জন ভক্ত গুরুত্বর আহত, ৪ডিসেম্বর/১৫ দিবাগত রাতে কান্তনগর রাস মেলা যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলায় ৬জন আহত ও গত ১০ ডিসেম্বর/১৫ দিবাগত রাতে জয়নন্দ ইস্কন মন্দির প্রাঙ্গনে ধর্ম সভায় বোমা ও মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র হামলায় ২জন গুরুত্বর আহত হয়। উপরোক্ত ঘটনাবলিতে এতদ অঞ্চলে জনমনে বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী গনের মধ্যে নিরাপত্তা হীনতা বোধ ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হেনেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ ডিসেম্বর/১৫ দুপুর ১২ টায় কাহারোল উপজেলার পূজাউদযাপন পরিষদের উদ্যেগে এক মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধনে শেষে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও জেলা কৃষক লীগের সহ সভাপতি বাবু গোপেশ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক রাজেন্দ্র দেবনাথ, যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জয়মিত্র, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ আনারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের পরিবেশ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সফিকুল ইসলাম ও খোশালপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের সভাপতি মুকুল চন্দ্র রায় প্রমুখ। বক্তারা মানব বন্ধনে বিভিন্ন দাবী নিয়ে আলোচনা করেন, বক্তারা বলেন উপরোক্ত ঘটনাবলিতে জড়িত সকল সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান, ধৃত ও গ্রেফতার কৃত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে সন্ত্রাসের পৃষ্টপোশক ও মদত দাতাদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা, হিন্দু ধর্মীয় মন্দির আশ্রম ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুগণের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তিগণের নিরাপত্তা বিধান নিচ্ছিত করা, ক্ষতিগ্রহস্থ মন্দির গুলিতে ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা করা ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা আহত ব্যাক্তিদের সরকারী খরচে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে এই বলে সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।