চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতের মালুয়াপাড়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মোষ্ট ওয়ানটেড রুহুল নিহত॥
হাবিবুর রহমান,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার মালুয়াপাড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে রুহুল মন্ডল (৩৬) নিহত হয়েছে। শুক্রবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে বিজিবি ও বিএসএফের মোষ্ট ওয়ানটেড ছিলো। সে সীমান্তে বিএসএফকে কুপিয়ে হাত কেটে ফেলাসহ মাদক চোরাচালান ও নানা ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলো। নিহত রুহুলের বাংলাদেশ ও ভারতের উভয় দেশের নাগরিকত্ব ছিল বলে জানা গেছে। বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক এস এম মনিরুজ্জামান (বিজিবিএম) জানান, রুহুল মন্ডল গত বছর ১২ ডিসেম্বর মালুয়াপাড়া বিএসএফ কোম্পানী কমা-ারের বাম হাতের ৪টি আঙ্গুল ও ডান হাতের কব্জি কেটে নেয়। সে দীর্ঘ দিন ধরে সীমান্তে সন্ত্রাসী ও ডাকাতির কারণে বিজিবি-বিএসএফ’র মোষ্ট ওয়ান্টেড ছিল। শুক্রবার ভোরে বিএসএফের গুলিতে রুহুল নিহত হয় বলে সীমান্তের বিজিবি সূত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। রুহুল মন্ডলের ভারতে নিজের বাড়ি রয়েছে। সেখানে তার স্ত্রী ও ৩টি সন্তানও আছে। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গার সুবলপুরসহ বিভিন্ন স্থানে কয়েকজন নারী তাকে স্বামী বলে দাবি করেছে। এদিকে বাংলাদেশের দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সুবলপুরগ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুবলপুর গ্রামের মাঠ পাড়ায় বাবলুর রহমানের ছেলে রুহুলের ৩ কামরার একটি পাকা বাড়ি রয়েছে। সেখানে তার স্ত্রী আসমা খাতুন ও মেয়ে নুরুন্নাহার বসবাস করছে। এরা রুহুলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন লাশ ফেরত পেতে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মুন্সিপুর বিজিবি ক্যাম্পে গিয়েছে বলে এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে। সুবলপুর গ্রামের ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী জানান, রুহুল সুবলপুরের বাসিন্দা ছিল এবং সে বাংলাদেশেরও নাগরিক। তার বাবার নাম বাবুল হোসেন।