নিরিহ যুবতীর সরলতার সুযোগে দেহব্যবসা পতিতা বৃত্তি অস্বীকার করায় যুবতীকে পৈচাশিক উপায়ে গুরুতর রক্তাক্ত ও জখম

3r
রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌন পল্লীতে ১৫ অক্টোবর রাতে বাড়ীওয়ালী রেজির নিকট মানবপাচারকারী বিক্রি করে দেয়। ঘটনার পর রোজি বাড়ীওয়ালী পালিয়ে যায়। জানাযায়, গোপালগঞ্জ জেলার মোকসুদপুর থানা এলাকার মোচনা গ্রামের যুবতি (২৫) এর বাড়ী। ০১ মাস পূর্বে গাজীপুরের জয়দেবপুরে সর্দ্দারিনী রোজি (৪০) এর সাথে পরিচয়ে যুবতির সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উক্ত যুবতিকে রেজি তার বোনের বাড়ীতে বেড়ানোর কথা এবং ভাল চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ১৫/১০/১৫ তারিখে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে রাত অনুমান ১০.২০ সময়ে উত্তর দৌলতদিয়া রেল লাইনের পাশ দিয়ে পতিতালয়ের পিছন গেট দিয়ে মজি ফকির ওরফে মজি মেম্বার (৪৫) এর বাড়িতে নিয়ে রাখে। তার কয়েকদিন পর বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও টাকার লোভ দেখাইয়া পতিতাবৃত্তির পেশায় নিয়োজিত করতে বাধ্য করে। এই পেশায় কাজ করতে অস্বীকার করলে সর্দ্দারিনী রোজি ও মজি মেম্বার বিভিন্ন সময়ে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাভ ফুলা জখম করে। এ ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হলে নিষিদ্ধ পল্লীর কমিউনিটি পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যৌন পল্লীর রোজির বিরুদ্ধে ঝাড়– জুতা মিছিল করার পর গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ যুবতি হালিমা (২২) কে উদ্ধার করে জরুরী চিকিৎসার জন্য গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে মানব পাচার ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, যৌন পল্লীতে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করায় নির্যাতন সইতে না পেরে ২ মাসে ১৮ জন আত্মহত্যা করেছে বলে থানা সূত্রে প্রকাশ করা হয়। এ ধরনের ঘটনার তীব্রপ্রতিবাদ জানিয়েছে পল্লীর বসবাসকারী অধিবাসী ও সচেতন মহল এবং এসক ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *