ঝিনাইদহে ভৌতিক মামলা, না অন্য কিছু ?

জাহিদুর রহমান তারিক, ষ্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপরাইল গ্রামের বাসিন্দা হাশেম আলী । ঝিনাইদহের চাপরাইল ত্রি-মোহনীতে তার একটি মুদির দোকান আছে। সেখানে তিনি মুদি সামগ্রী বিক্রি করেন। হঠাৎ করে শনিবার তার নামে আদালত থেকে সমন আসে। অপরাধ হিসেবে দেখা যায় ভেজাল প্রাণ জুস বিক্রি সন্দেহে তার নামে মামলা দিয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানেটারি ইন্সপেক্টর কাজী আব্দুল হামিদ। আর সাক্ষী হিসেবে যেসব ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা লেখা হয়েছে তাদের কোন খোঁজই মিলছে না। হাশেম আলীর অভিযোগ ওই কর্মকর্তা কোন দিনই তার দোকানে আসেননি। তাহলে তিনি কিভাবে তার নামে মামলা দিল ? একই অবস্থা ঝিনাইদহের চাপরাইল গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, সোলাইমান ও মনিরুল ইসলামের। তাদের সবার বিরুদ্ধে বিপিএফও সংশোধনী ২০০৫ এর ৬ (১) ও ১৪(৭) ধারায় মামলা হয়েছে। গত ২৭/১১/২০১৪ ইং তারিখে অনেকটা ভৌতিকভাবে দায়ের হওয়া এ মামলার সমন গত শনিবার পুলিশ তাদের কাছে পৌছিয়ে দেয় আদালতে হাজির হবার জন্য। গ্রামের সহজ সরল মানুষ মামলার দায়েরের সমন পেয়ে অনেকটা ভীতু হয়ে কি করবেন বুঝতে পারছেন না। তারা আজ বুধবার দলবদ্ধভাবে নিয়ামতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাজেদুল হক লিটনের কাছে আসেন পরার্শন নেয়ার জন্য। ঝিনাইদহের নিয়াতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুল হক লিটন তাদের কথা শুনে ও মামলার কপি এবং সমন দেখে ওই স্যানেটারি ইন্সপেক্টরের সাথে কথা বলেছেন। কখন কিভাবে তিনি তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দিয়েছেন তা ওই কর্মকর্তা নিজেই জানেন না। তবে স্যানেটারি ইন্সপেক্টর বলেছেন ভবিষ্যতে আর এ রকম হবে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্যানেটারি ইন্সপেক্টর কাজী আব্দুল হামিদ জানান, এটি কোন ভৌতিক মামলা নয়। ওই সময়ে ঝিনাইদহের চাপরাইল বাজারের তাদের দোকানের মাল চেক হয়েছিল। যেসব জুসের বোতলে কোম্পানীর লেভেল আছে, সেসব কোম্পানী ও বিক্রেতাদের নামে মামলা হয়েছে। আর যেগুলির বোতলে লেভেল নেই অথচ দোকানদার সেগুলি বিক্রি করছে সেই বিক্রেতার নামে সরাসরি মামলা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জুস গুলি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। চেক শেষে ফিরে আসার পর তাদের বিরুদ্ধে জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টরের তত্ত্বাবধায়নে ও আমার যৌথ স্বাক্ষরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *