মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও ভূমি মন্ত্রি। “ভূমী দস্যূদের সহযোগি” সহকারী ভূমি কর্মকর্তাদের বিচার কবে হবে ? আমাদের প্রতি দয়া করুন।
স্টাফ রিপোর্টার ও দক্ষিনাঞ্চলীয় প্রতিনিধি : খুলনা বিভাগের বেশ কয়েকটি উপজেলা ঘুরে এসে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হল ঃ খুলনা বিভাগের অনেক জেলাতেই সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন ছিল এনিমি সম্পত্তি। সরকার এই বিষয়ে বাংলাদেশে খাজ জমি হিসাবে গন্য করেছিলেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘদিনের এনিমি (খ) তপশীল সম্পত্তির উপর সকল নিশেধাজ্ঞা তুলে নেন ও এনিমি (খ) তপশীল সম্পত্তিতে যে নিয়ম কানুন ধারাবাহিকতায় রেখেছিলেন তা পূর্বের সকল অর্ডারকে বাতিল বলে গণ্য করেন। কিন্তু দেখা যায় এক শ্রেণীর সহকারী ভূমি কর্মকর্তারা সরকারের নিয়ম কানুন অমান্য করে বিভিন্ন ভূমি দস্যূদের সহযোগীতা করে কোটি কোটি টাকা আয় করে। কেউ কেউ কোট টাকার আলিশান বাড়ী করেছেন। কেউ বা ভারতেও বিশাল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এদের খুটির জোর কোথায় এই বিষয়ে বিভিন্ন জেলার এডিসি রেভিনিউদের সাথে আলাপ কালে জানা যায় যে, মাঠ পর্যায়ের খবরা খবর তাদের কাছে নেই। যে গুলির সন্ধান বা খবর তাদের নিকট আসে সেগুলি তাৎক্ষণিকভাবে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন। তথ্য অনুসন্ধান কালে জানা যায় যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার বুড়–লী তপশীল অফিসে কর্মরত সহকারী ভূমী কর্মকর্তার রনজিৎ সাহা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি করে লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন। কেশবপুর উপজেলায় তার নিজ বাড়ীটি কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করছেন। তাকে অন্যভাবে কাজে আসা মানুষ দ্বারা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন চাকুরী শেষ সময় যা কামাই করতে পারি সেটাই লাভ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ.ডি.সি রেভিনিউ এর কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। স্থানীয় লোকদের কাছে জানা যায় এই সহকারী কর্মকর্তা তার দায়িত্বকৃত ভূমি অফিসের যে কয়টি এনিমি সম্পত্তি ছিল সেখান থেকে একশ্রেণী ভূমি দস্যূদের নিকট মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভূল ও মিথ্যা রিপোর্ট প্রদান করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন। অপর দিকে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা, দাকোপ উপজেলা, পাইকগাছা উপজেলা ও কয়রা উপজেলার বেশ কয়েকটি সহকারী ভূমী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের খবর পাওয়া যায়। এদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সেটেল ম্যান কর্মকর্তাগন সহ ভূমি ও সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মরত ব্যক্তিদ্বয় বিভিন্নভাবে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া যায়। ভুক্তভোগীদের আকুল আবেদন এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা উপকার পাবে।