দশমিনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা’র অপচিকিৎসার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমনিা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি রায়ের অপচিকিৎসায় শিশুর মৃত্যুও ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত সংবাদেও প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রালয়ের কর্তৃক পাচঁ মাস ২৪ দিন পর গতকাল রবিবার তদন্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাশঁবাড়িয়া গ্রামের গয়জদ্দীন হাওলাদারের ৩য় শ্রেনি পড়–য়া কন্যা লামিয়া বেগমের পেটে ব্যাথা শুরু হলে চলতি বছরের ২জুন দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এর পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মৃনাল কান্তি রায় পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া অ্যাপেন্ডিসের ব্যাথা হয়েছে বলে রোগীর স্বজনদেও সাথে আট হাজার টাকা চুক্তিতে ৩জুন সকাল অনুমানিক ৯টায় এ্যানেস্থিসিয়া পুশ না করে তরিঘরি করে হাত পা বেঁেধ অপারেশন করেন। ওই সময়ে রোগীর আত্ম চিৎকারের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র এলাকায় হুলস্থল ও আতংকের সৃষ্টি হয়। অপারেশনকৃত রোগীর ৩দিন পর রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে ডাঃ মৃনাল কান্তি রায় বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক লামিয়া বেগমকে ঢাকা শ্যামলী শিশু হাসপাতালে প্রেরণ করে। গত ৯জুন মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লামিয়ার মৃত্যু হয়। এ খবর বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোঃ নাসির উদ্দিনকে তদন্ত করার দায়িত্ব দিলে তিনি গতকাল রবিবার তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। দশমিনা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে তদন্তকালে লামিয়ার মা জাকিয়া বেগম, নানী আলেয়া বেগম, খালু মোঃ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষ্য দেন। এ ছাড়া ওই চিকিৎসক কর্তৃক অপচিকিৎসার শিকার সাজেদা বেগম উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।