লোহাগড়ায় বেবীগাজীর হত্যাকান্ডে পুলিশী ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ !

লোহাগড়া (নড়াইল)প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ধলইতলা গ্রামের বেবীগাজী হত্যাকান্ডে পুলিশ এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত কোন আসামিকে আটক করতে পারেনি। খুনের ঘটনায় নিহত বেবী গাজীর ছেলে রাজীব গাজী ৩০ নভেম্বর লোহাগড়া থানায় উপজেলা আ’লীগ নেত্রী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা শামীম লাকিসহ ৩৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২০/২৯২। মামলার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় জনমনে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, বেবী গাজী হত্যা মামলার আসামী ওহিদুজ্জামান গাজী বাদী হয়ে ৩ ডিসেম্বর নিহত বেবী গাজীর আতœীয় স্বজনসহ এলাকার ৩২ জনের নামে একটি লুটপাট ও ভাংচুর মামলা করে। মামলা নং-০৬/২৯৮।
সরজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা য়ায়, দুইটি মামলায় গ্রামটি পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। ওই গ্রামের রফিক শেখ(৬০) বলেন, বেবীগাজী ৪/৫ বছর পূর্বে রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন। এমনকি তিনি সামাজিক কার্যক্রম থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে বেবীকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যা কান্ডের বিচার হওয়া উচিত। নিহত বেবীগাজীর ছেলে রাজীব গাজী বলেন, আমার বাবাকে প্রকাশ্যে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহানারা শামীম লাকি ও তার লোকজন। আমি এই বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই। উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর বিকেলে বেবী গাজীকে (৫০) কুপিয়ে ও রগ কেটে হত্যা করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *