হারিয়ে যেতে বসেছে জলে শোভা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ শাপলা ফুল
কাহালু (বগুড়া) থেকে এম এ কদের : বগুড়ার কাহালুতে খাল-বিল,জলাশয়,পুকুর পুস্কুনির জলে একসময় শোভাপেত জাতীয় ফুল শাপলা। কালের চক্রে হরিয়ে যেতে বসেছে বিভিন্ন প্রজাতির নানা রং এর শাপলা। এর মধ্যে দৃষ্টি নন্দন মনোমুগ্ধকর লাল ও বেগুনী শাপলা ফুলের আকর্ষণ ছিল সবচেয়ে বেশী। বর্ষা মৌসুমে প্রকৃতিগতভাবেই জন্ম নিত শাপলা।আবহমান কাল থেকেই শাপলা বিভিন্ন বয়সে মানুষের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভক্ত ছিল। এলাকার হাট-বাজারে পাওয়া যেত শাপলা ফুলের মধু(পদ্মমধু)শালুক আর সুস্বাদু ভেটের খৈ ও মোয়া। এছাড়া গ্রীস্মকালে ছিল পুকুরের মাছের নিরাপদ আবাস স্থল। শাপলা ও পদ্ম ফুলের মধুর ঔষধি গুণের কথা আজও প্রবীণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে শোনা যায়। এলাকার বিভিন্ন পুকুর সরকারী খাস জলাশয় বিশেষ করে সৌখিন ব্যক্তিদের পুকুরে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকত,লাল,বেগুনী ও সাদা প্রজাতির মনমুগ্ধকর জাতীয় ফুল শাপলা। শাপলার মাটির নিচের অংশকে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় শালুক। নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে হেমন্তর শুরুতে এলাকার অভাবী মানুষরা শালুক তুলে রোদে শুকে খৈ ভেজে ও মোয়া বানিয়ে ছেলে মেয়েদের নিয়ে খেত এবং অনেকে হাট বাজারে বিক্রয় করত। সেদ্ধ শালুকের মজাও কিন্তু কম ছিলনা। শাপলার ঔষধী ও পুষ্টিগুণ বিষয়ে ভেষজ চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল কাদের খান এর নিকট জান্তে চাওয়া হলে তিনি জানান শাপলা আমরা সবজি হিসেবে গ্রহন করতে পারি অন্যান্য সবজির চেয়ে শাপলার পুষ্টিগুণ অনেক বেশী।এছাড়া বিভিন্ন ঔষধী কাজে শাপলা ফুল ব্যবহার হয়ে থাকে বিশেষ করে মেয়েদের রুপচর্চার কাজে। শাপলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম যা আমাদের প্রধান সবজি আলুর চেয়ে কয়েক গুণ বেশী। কিন্তু কালের চক্রে গ্রাম গঞ্জের জলাশয় ও পুকুরে বিদেশী কার্প জাতীয় মাছ চাষের কারণে শাপলা আজ বিলুপ্তির প্রায়।