খালেদা জিয়া চক্রান্ত করছে তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে……..স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মহাম্মদ নাসিম

Chuadanga Awamilig Councial  Pictures (1) 02.12.2015
হাবিবুর রহমান,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মহাম্মদ নাসিম বলেছেন, খালেদা জিয়া চক্রান্ত করছে সে কারনে আমাদের ঐথাক্যবদ্ধ কতে হবে। সামনে আমাদের পথ অত্যান্ত কঠিন হবে। সেই পথ অতিক্রম করতে হলে সাংগঠনিক ভাবে আমাদের দৃঢ হতে হবে। বাংলার জনগণ ও আওয়ামীলীগই আমাদের বড় শক্তি। ডিসেম্বর মাসেই পৌরসভা নির্বাচনের নৌকা প্রতীক নিয়ে আমরা বিজয়ী হয়ে আবারও ২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হবো। তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার আন্দোলনে ডাকে কেউ সাড়া দিইনি। কারন আপনার সঙ্গে কেউ নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উনাকে গণভবনে ডেকেছিলেন। কিন্তু তিনি জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আসেননি। তিনি আন্দোলনের নামে সারা দেশে জ্বালাও পোড়াও শুরু করলেন। এতে কি হয়েছে ? গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হয়ে গেছে। দেশের মানুষ খুব ভাল আছে। তারা বিদ্যূৎ, সার ও বিনা মূল্যে বই পাচ্ছে। উপজেলায় উপজেলায় ঘরে ঘরে বিদ্যূৎ পৌছে গেছে। থেমে থাকছেনা উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীক দিলাম, আপনারা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আপনাদের জনপ্রীয়তা যাচাই করুন। তিনি বলেন, এই চুয়াডাঙ্গায় ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর জীবন্ত মানুষকে ইটভাটায় পুড়িয়ে হত্যা করা হতো। তখন এটা গুলিও খরচ না করে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তির প্রস্তাবের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পন করিয়েছিলাম। শেখ হাসিনা শান্তির মধ্য দিয়ে এদেশটাকে এগিয়ে নিতে চায়। মন্ত্রী মহাম্মদ নাসিম আজ বেলা পৌনে ৩টায় চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বাষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে উক্ত বক্তব্য রাখেন। কাউন্সিল অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া প্রায় বলেন বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল এবং জিয়া মুক্তিযোদ্ধা। জিয়া মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট হিসাবে। কারন তিনিই দেশে মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী সকল কর্মকান্ড করেছেন। এদেশের স্থপতি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের তিনি সম্মান মর্যদা দিয়ে বিদেশে চাকরি দিয়ে পূর্নবাসন করেছিলেন। জয়পুরহাটের কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল আলিমকে তিনি তার মন্ত্রী পরিষদে রেলমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। কাউন্সিল অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা সংসদ সদস্য এ.বি.এম.মোজাম্মেল হক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস.এম.কামাল হোসেন। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান নান্নু, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশাবুল হক মালিক লন্টু, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান কাদির গনু, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু ও জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মর্তুজা। অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের মাহবুব-উল-আলম হানিফ চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে জাতীয় সংসদের হুইপ ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আজাদুল ইসলাম আজাদের নাম ঘোষনা করেন।#

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *