লোহাগড়ায় ৩৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই ॥ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত
কাজী আশরাফ, লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ৩৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান, দাপ্তরিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়ায় মোট ১৬০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ১২ জন সহকারী শিক্ষক এবং ৩৪টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে । অবসর এবং বদলি জনিত কারনে ওইসব বিদ্যালয়ে পদগুলো শূন্য হয়ে পড়েছে। উপজেলার ৮নং কামারগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, ৬ বছরের বেশি সময় ধরে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে গেছেন। এর পর থেকে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য। বর্তমানে আমিসহ মোট দুই জন এই বিদ্যালয়ে কর্মরত আছি। প্রধান শিক্ষক না থাকায় প্রশাসনিক কাজের চরম ব্যাঘাত হচ্ছে। শিক্ষক সল্পতায় বিদ্যালয়টিতে কোমলমতি শিশুদের পাঠ দানে সমস্যা হচ্ছে। দেবী শুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাকাওয়াত হোসেন জানান, প্রায় ৩ বছর ধরে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। বিদ্যালয়ে কর্মরত ৩ জন শিক্ষককে ৫টি শ্রেণির ক্লাস নিতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ চঞ্চল শেখ বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্কুল পরিচালনা করা কঠিন। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ না দিলে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে ডিজিটাল করতে সময়পোযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। হতাশার বিষয় হচ্ছে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রেখে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তবে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করায় দ্রুত এ সমস্যা সমাধাণ হবে বলে আশা করছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদগুলো শিগগিরিই পূরণ করা হবে। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আমরা চিঠি দিয়েছি।