ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের অত্যাচার অভিভাবক মহল অতিষ্ঠ

মোঃ লিটন হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান সুত্র মোতাবেক জানা যায় যে ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের গত কয়েক দিন আগে ষষ্ট শ্রেণিতে পড়ুয়া আবু তালাহ রাতুল নামের এক ছাত্রের অভিবাবক মোছাঃ শাহানা ইসলাম ঐ ছাত্রের মাসিক বেতন দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে যায়। তখন ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামাল হোসেন রাতুলের মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করে বলে যে আপনি কেন স্কুলে এসেছেন? বেতনের টাকা রাতুলের নিকট পাঁঠিয়ে দেবেন এই বলে তিনি রাতুলের মাসিক বেতন গ্রহণ করেন নি। এবং অভিবাকের সামনে ছাত্রকে এই বলে হুমকি দিয়াছেন যে তার বেতন এর কোন দিন তিনি নেবেন না। অভিবাবক শাহানা ইসলাম বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে জানালে বিদ্যালয়ের পিয়ন ওসমানের নিকট দিতে বলেন। তারপর তিনি বেতনের ৩৯০ টাকা পিয়নের নিকট দিয়ে চলে আসেন। যতুদুর জানা যায় সংবাদ লেখার শেষ সময় অবদি ঔ ছাত্রের বেতনের টাকা ওসমানের নিকট রয়েছে । উলে¬খ যে শিক্ষক যে শ্রেণীর ক্লাস নেই সেই শিক্ষক সেই শ্রেণীর বেতন আদায় করে থাকেন। সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেন ষষ্ট শ্রেণির বাংলা ক্লাস নেন। খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে যে তার নিকট যে যে প্রাইভেট পড়ে ক্লাসের পরীক্ষায় তিনি তাকে বেশী করে নম্বর দেন। প্রবর্তন নামের একটি কোচিং সেন্টারে তিনি তার ছাত্রদের পড়তে বাধ্য করেন। তার কথা না শুনলে তিনি ছাত্রদের ক্লাসে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে থাকেন। ইহা ছাড়া মোকাদ্দেস নামের এক অভিবাবক জানিয়েছে যে সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেন সদা সর্বদা অভিবাকেরদের সাথে স্কুলে গেলে দুর্ব্যবহার করে থাকেন। আমরা আমাদের ছেলে দেক স্কুলে পাঁঠিয়ে কি তাদের কোন খোঁজ কবর নিতে পারব না ?
মখলেছুর রহমান বলেন, অভিবাবকদের সামনে যদি কোন শিক্ষক ছাত্রের সাথে এই ধরনের অমানবিক আচারন করে তাহলে কমল মতি ছাত্রদের মানসিক অবস্থা কি হতে পারে ? কোথায় গেলে আমরা এর প্রতিকার পাব বুঝতে পারছি না। এই প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এবাদুল ইসলামের নিকটে মোবাইলের জানতে চাইলে তিনি বলেন যে আমি পিয়ন ওসমানকে টাকা রাখতে বলেছি কিন্তু জমা হয়েছে কি না তাহা জানি না। তবে আমি খোঁজ করে দেখব। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অভিবাকেরা উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *