বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে বিদেশি নাগরীকদের নিরাপত্তা জোরদার
বেনাপোল প্রতিনিধি (যশোর): বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকপোষ্ট দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিদেশি নাগরীকদের উপর কড়া নিরাপত্তা ও নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া সরকারী গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে নাশকতা রোধে প্রশাসনের অতিরিক্ত সতকর্তাও লক্ষ করা গেছে। সাম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদেশি নাগরীকদের উপর আক্রমন চালিয়ে হত্যা ও হত্যা চেষ্ঠার ঘটনায় এই সতর্কতা জারী হয়। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,রোমানিয়া রাষ্ট্রের কাসটিন ইসটিফেনিটা নামে এক বিদেশি নাগরীক বাংলাদেশে প্রবেশের সাথে সাথে তার পাসপোর্টের যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ করে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশকে খবর দিচ্ছেন। কিছুক্ষন পরে পুলিশ ইমিগ্রেশন ছুটে এসে ওই যাত্রীদের সাথে নিয়ে প্রাথমিক নিরাপত্তা দিয়ে যাত্রীর গন্তব্যে পৌছে দিতে সহযোগীতা করছেন। থেমে নেই বেনাপোলে কর্মরত ডিজিএফ আই ও এনএসআইসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। তারাও এসে ওই যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছেন উপরে ম্যাসেস পাঠাচ্ছেন। শনিবার(২৮ নভেম্বর) দিনভর ৩৬ বিদেশি নাগরীক ভারতের পেট্রাপোল চেকপোষ্ট হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। এর মধ্যে ২০ ইন্দোনেশিযার নাগরীক,১০ মালেশিয়ার,৫ অষ্টেলিয়া ও এক রোমানিয়ার নাগরীক রয়েছেন। বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, বিদেশি নাগরীকদের সার্বিক নিরাপত্তায় তারা সতর্ক রয়েছে। এছাড়া কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে দেশে অভ্যন্তরে তাদের অবস্থানের উপরও থানা পুলিশের নজরদারী রয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে বিদেশি নাগরীকদের নিরাপত্তার বাড়ানোর পাশাপাশি বেনাপোল অবস্থিত সরকারী প্রতিষ্ঠান কাস্টমস হাউজসহ বিভিন্ন অফিসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশিষ্টদের সতর্ক থাকতে দেখা গেছে। বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ফিরোজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, সকল দপ্তর ও স্থাপনা সমুহে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারী নির্দেশ এসেছে। এলক্ষে বেনাপোল কাস্টমসের মেইন গেট,সকল শুল্ক গুদাম,অফিস স্থাপানা,আবাসিক এলাকা, বাসকল,আন্তর্জাতিক চেকপোস্টসহ কাস্টমসের সকল এলাকায় পরিচয় পত্র ছাড়া যেন কেউ ঢুকতে না পারে সে জন্য সংশিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে তার বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানানো হয়েছে।