নাগরপুরে গত দুই মাসে ৫টি বাল্য বিয়ে সম্পন্ন
নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের নাগরপুরে থামছেই না বাল্য বিয়ের প্রবনতা। আইনের কঠোর প্রয়োগ না থাকায় একের পর এক ঘটে চলছে বাল্য বিয়ে। গত দুই মাসে একই ইউনিয়নে কমপক্ষে ৫জন কিশোরী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কাজীর প্রত্যক্ষ মদদে এসব বাল্য বিয়ে সংঘটিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নেই গত দুই মাসে কাজী আবুল বাশার প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ৫টি বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করে বহাল তবিয়তেই রয়েছেন। গত ২৭ নভেম্বর শুক্রবার ভাদ্রা ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের কিশোরী কন্যা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী আখি আক্তারের বিয়ে বন্ধ করে দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)। ওই রাতেই সংশ্লিষ্ট কাজী আইনের তোয়াক্কা না করে কোন এক অদৃশ্য শক্তিবলে বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, ভাদ্রা গ্রামের আলী হোসেনের কন্যা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী আখি আক্তারের ১০সেপ্টেম্বর, শেহরাইল গ্রামের মহির উদ্দিনের কন্যা নবম শ্রেণীর ছাত্রী শম্পা আক্তারের ২৭ সেপ্টেম্বর, ভাদ্রা গ্রামের মজনু মিয়ার কন্যা নবম শ্রেণীর ছাত্রী সীমা আক্তারের ৯ সেপ্টেম্বর, বেহালী খামার গ্রামের আশরাফ খানের মেয়ে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী লুনা আক্তারের ৯ অক্টোবর ও কোদালিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের কন্যা অতি সম্প্রতি ২৭ অক্টোবর বিয়ে হয়। এ ব্যপারে কাজী আবুল বাশারের সাথে কয়েক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আবু সাঈদ এ প্রসঙ্গে বলেন, বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে সরেজমিন কোদালিয়া গ্রামে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। পরবর্তীতে বিয়ে সম্পন্ন হবার খবর আমার জানা নেই।