ভোলাহাটে অসহায় মা-বাবার শারমিন খাতুনের মাত্র ৩’শ টাকার অভাবে পরীক্ষা অনিশ্চিত
ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে অসহায় মা-বাবার মেধাবী সন্তান শারমিন খাতুন সামান্য অর্থ ৩’শ টাকার অভাবে সদ্য অনুষ্ঠিতব্য দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পরীক্ষা দিতে অনিশ্চিতের মধ্যে রয়েছে বাবা আফজাল হোসেন ও মা আমেনা বেগম। সরজমিনে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম শিকারী। আর এ গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে শারমিন খাতুন বর্তমানে দাখিল পরীক্ষার্থী। সামান্য অর্থ ৩’শ টাকার অভাবে বাবা-মা শারমিনের লেখাপড়া করা আলালপুর দাখিল মাদ্রাসায় অধ্যায়ণরত বর্তমানে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি ও সমমানের দাখিল পরীক্ষার জন্য টেষ্ট পরীক্ষায় শারমিন উত্তীর্ণ হলেও আসল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শারমিনের মা আমেনা বেগম গ্রামের পাড়া-পড়শীদের উপস্থিতিতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ প্রতিবেদককে বললেন, “হামড়া গরীব-অসহায় মানুষ বাপু হামড়াকি অতোকিছু জানি, তবুও পরীক্ষার আগাক্ষেনে মাদ্রাসায় গেনু কিছু টাকা-পয়শা লিয়্যা। সুপার হামাঘেরে কহিলে এ টাকা দিয়ে তোমার মেয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সুপার সাহেবকে হামড়া ফের কহিনু অতো টাকা-পয়শা কোথায় পাবো বাপু, খুবিই কষ্ট কইরা এ টাকাটা সংগ্রহ করেছি বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন। সুপার হামাঘেরে জবাব দিলে তোমার মেয়ে পরীক্ষা দিতে না পারলে আমার কিছু করার নেই। এ ব্যাপারে আলালপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার বজলুল রহমানের ০১৭১৮-২৮২৬০৯ নম্বর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মাদ্রাসার সভাপতি তোফায়েল আহমেদের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনাটির ব্যাপারে জানেন না এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে মোবাইল ফোনে জানান। তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত মোঃ রফিকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল রোববার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আলালপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার-সভাপতির সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদাণ করেন। #