খুলনা বিএডিসির সার আত্মসাত দুদক তদন্তে শীর্ষ কর্মকর্তারা জড়িত
নজরুল ইসলাম : বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি)খুলনার গুদাম থেকে ৩ কোটি ২৩লাখ টাকার সার আত্মসাতের বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন সিজ করবেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা।আত্মসাতের ঘটনায় বিএডিসির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তাই জড়িত আছেন বলেও জানান তিনি। সার আত্মসাতের ঘটনায় ইতিমধ্য্ই ৯ কর্মকর্তাকে জিগ্সাবাদ করেছে দুদক। তদন্তকারী কর্মকর্তা শামীম ইকবাল জানান,সার আত্মসাতের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের রাঘব বোয়ালরা জড়িত রয়েছে।সার আত্মসাতের ঘটনায় ইতিপূর্বে যে সব তদন্ত হয়েছে সেগুলোর প্রতিবেদন সিজ করা হবে। এক্্্ই সংগে বিএডিসির সচিবকেও জিঞ্জাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক। খুলনার কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের জিঞ্জাসাবাদে বর্তমান ও সাবেক অনেক কর্মকর্তা এ দূর্নীতির সহিত জড়িত বলে জানা যায়।অসাধু সব কর্মকর্তারা অনেক আগে থেকে নিজেদের দোষ একে অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, গত ২৪ও২৫ মে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ খুলনার শিরোমণি রুজভেল্ট ও বয়রা গুদাম পরিদর্শক ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার সার ঘাটির প্রতিবেদন দেয়। খুলনা বিএডিসির সহকারী পরিচালক (সার) মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন মোল্যা এ ঘটনায় ১২ মে মামলা করলেও সহকারী ভান্ডার রক্ষক জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সার আত্মসাতের ঘটনায় বিএডিসির প্রাথমিক তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির উপসহকারী পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও যুগ্ম পরিচালকের বিরুদ্বে অভিযোগ থাকায় তাদের বিরুদ্বেও তদন্ত করা হচ্ছে। খুলনার বিএডিসি গুদামে সার ঘাটতি ও নি¤œ মানের সার মজুদ সংক্্রান্ত একাধিক অভিযোগের পর সংস্থাটির পক্ষথেকে ৬ সদস্যও তদন্ত টিম গটন করা হয়। বিএডিসির যুগ্ম পরিচালকের নেতৃতে ¡তদন্তকালে সারের গরমিলের বিষয়টি ধরা পড়ে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিএডিসির সচিব (সার) দেলোয়ার হোসেন সহকারী ভান্ডার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন। একই সংগে সরকারী মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্বে মামলা করা হয়।