সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ইউপির কার্যক্রম ব্যাহত
মোশাররফ হোসেন বুলু, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা): সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১১ নং হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান একাধিক মামলার আসামী হয়ে পলাতক থাকায় বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের ফাইল পত্র চাপা পড়ে রয়েছে ২ মাস ধরে। জানা গেছে, উপজেলার চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের সোহেল রানাকে পথরোধ করে গুরুত্বর জখম করার অপরাধে তার স্ত্রী শরীফা খাতুন গত ৩০ নভেম্বর/১৩ ইং ১১ নং হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলামসহ ৩৮ জনকে আসামী করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৯। এ মামলাসহ গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের নিজপাড়া গ্রামের ননীডাঙ্গা ব্রীজের উপরে পিক-আপ গাড়ি ভাংচুর ও পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ১৪ জানুয়ারী/১৫ইং দায়েরকৃত ১২ নং মামলায়ও পুলিশ উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। তখন থেকেই চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় ইউপির উন্নয়নমুলক কাজসহ বিভিন্ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। গ্রাম শালিসও হচ্ছে না। এছাড়া জন্ম নিবন্ধবন, নাগরিকত্ব, ওয়ারিশ সনদপত্র, পেতে গেলে দিনের দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। কারণ চেয়ারম্যানের নিজস্ব লোকের হাতে কাগজপত্র দিলে তারা গোপনে কাগজপত্র সহি করে এনে দেন। জনগণের দুর্যোগ লাঘবে একজন সরকারি প্রশাসক নিয়োগ অথবা ইউপি সদস্যদের মধ্যে হতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগ অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। এজন্য ইউপির কয়েকজন সদস্য ও এলাকাবাসি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের নিকট একটি আবেদন করেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে স্মারক নং- স্থাসবি/ইপ/সাবঅ-২৯/২০০৭-৯৬৯ তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর/ ২০১৫ ইং পত্র মারফত জেলা প্রশাসক গাইবান্ধাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ। জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা ৮ অক্টোবর ২০১৫ ইং স্মারক নং- ০৫.৫৫.৩২০০.০৭০.০৯.০১৪.১৫-৮২৩ পত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুন্দরগঞ্জকে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু প্রায় ২ মাস হতে চললেও হরিপুর ইউনিয়নের জনগণের দূর্ভোগ লাঘবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।