সুজানগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫১ শয্যার ১৯জন চিকিৎসকের পদ শূণ্য খুড়িয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা

আনোয়ার হোসাইন : সুজানগর (পাবনা) সংবাদদাতাঃ পাবনার সুজানগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫১ বেডে উক্তীর্ণ হলেও বছরের পর বছর হাসপাতালে চিকিৎসকের স্বল্পতা ও নানাবিধ কারণে রুগিদের ভুগান্তির শেষ নেই। উপজেলার প্রায় ২ লক্ষাধিক জনসমষ্টির জন্য হাসপাতালে ৩০টি চিকিৎসকের পদ থাকলেও মাত্র ১১জন চিকিৎসক দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। চিকিৎসক, কমকর্তা-কর্মচারীদের হাসপাতালে কোয়াটার রযেছে অথচ বেশিরভাগ থাকেন বাহিরে। মাত্র তিন জন চিকিৎসক কোয়াটারে অবস্থান করেন। কোয়াটার গুলো শূণ্য থাকায় আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। তাছাড়া যথা সময়ে অফিসে না আসায় এলাকাবাসি তথা রুগিরা অহরহ ভূগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি বা মুমূর্ষ রোগি এলে বাসায় বা স্থানীয় ক্লিনিক থেকে ডাক্তার ডেকে আনতে হয়। অত্র হাসপাতালে নার্স পদের ৮টি, তৃতীয় শ্রেণীর ১০জন, ৪র্থ শ্রেণীর ৪টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য রয়েছে। হাসপাতালে নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্স ও জেনারেটর ২টি রয়েছে, চাহিদার তুলনায় প্রাপ্য তেলের পরিমান স্বল্প বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতা। এখানে অতি পুরাতন এক্স-রে মেশিন ৫০এম.এ চালু থাকলে অধিকাংশ নতুন মেশিন ও যন্ত্রপাতি রয়েছে বাক্স বন্দী। এদের মধ্যে এ্যানিস থেসিয়া মেশিন, ও-টি টেবিল, লেবার ও চাকার টেবিল, অক্টো ক্লেফফাই প্রেসার, হট ইয়ার ওভেন, ওয়াটার বাথ, ইনকেøাভেটার, কেøারিমিটার সহ দামী দামী মেশিন ও যন্ত্রপাতি গুলো নতুন কিন্তু অবধি বাক্্র বন্দী। অব্যবহারের এগুলো নষ্ট হয়ে যাচেছ ও সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সুজানগরের পার্শ্ববর্তী সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রাম থেকে রুগি আসায় বাড়তি চাপ রয়েছে হাসপাতালটিতে। চিকিৎসকের সংখ্যা কম থাকলেও ঔষধ কোম্পানীর রিপ্রেজেনটেটিভ প্রচুর সমাগম থাকায় এবং তাদের হানা দেওয়াতে রুগিরা অতিষ্ট। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কর্মস্থলে না থাকায় সময়মত অন্যান্যরা অফিসে আসা যাওয়া ঠিকমত করেন না বলে জৈনিক কর্মকর্তা জনান। অধিকাংশ চিকিৎসক হাসপাতালের বাহিরে কিøনিক বা দোকানে বসে তাদের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাত্র ৩টি বাসায় অবস্থান করেন চিকিৎসক।সরকার কর্তৃক ঘোষিত হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা কমিটি কাগজে কলমে রয়েছে এ হাসপাতালটিতে, এর কোনো মিটিং হয় না। সরকার তৃণমূল চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ ও চিকিৎসকদের পদোন্নতি দিলেও চিকিৎসকরা উপজেলা/গ্রামে গিয়ে বেশী দিন থাকেন না। চিকিৎসকদের কর্মস্থলে রাখতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও কর্মস্থলে না থাকাতে চিকিৎসা সেবার মান জনগণের দোড় গোড়ায় পৌছানো যেন অসম্ভবই থেকে যাচ্ছে। সুজানগর বাসী এ অসহনীয় ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে সব শূন্যপদ পূরন সাপেক্ষে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *