সুন্দরগঞ্জে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই না করায় লটারীতে দরিদ্ররা বঞ্চিত
মোশাররফ হোসেন বুলু, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা): সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক নিয়োগে আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই না করায লটারীতে প্রকৃত দরিদ্ররা বঞ্চিত হয়েছে। জানা গেছে, গ্রাম অঞ্চলের অতি দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কর্মসৃজন প্রকল্প চালু করেন। এবছর উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে ৪ হাজার ৮৩১ জন শ্রমিক নিয়োগের বরাদ্দ মেলে। উপজেলা প্রশাসন লটারীর মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে লটারীতে শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের টাকা নেয়া বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্যরা আবেদনপত্র গ্রহন পূর্বক যাচাই-বাছাই না করায় প্রশাসন ঢালাওভাবে গ্রহণকৃত আবেদনপত্র দিয়ে পর্যায়ক্রমে ১৫ ইউনিয়নে লটারী কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এতে করে প্রকৃত অতিদরিদ্র ও অসহায় দুঃস্থদের ভাগ্যে লটারী চাকা না ঘুরায় তারা কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এরপর চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, রাজনৈতিক নেতা ও সুধীজনের নিকট তাদের নাম তালিকা ভুক্ত করার আকুতি-মিনতি করছেন। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার জানান, নিজেদের তথ্য গোপন রেখে লটারীতে যারা কৃতকার্য হয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সদস্যরা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত অতি দরিদ্রদের নাম তালিকা ভুক্ত করে জমা দিবেন। এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) রেজিয়া বেগম জানান, সচ্ছতার সাথে শ্রমিক বাছাইয়ের লক্ষ্যে লটারী করা হলেও আবেদনপত্র গুলো যাচাই-বাছাই না করায় অতি দরিদ্ররা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।