বাগেরহাটে বিএনপি কর্মী হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ২০০৪ সালে বিএনপি কর্মী আ. রহিম ফকিরকে হত্যার দায়ে দুই সহোদরসহ তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। আলোচিত এ হত্যাকান্ডের ১১ বছর পর মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান খান জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোশণা করেন। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১৬ আসামীকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় মামলার এজারভূক্ত ১৯ আসামীর সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় দন্ড-প্রাপ্তরা হলো, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিলবুনিয়া গ্রামের মমিন উদ্দিন শেখের ছেলে সোবাহান শেখ ও শাজাহান শেখ এবং একই গ্রামের প্রয়াত মুনসুর শেখের ছেলে বারেক শেখ। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় পূর্ব শত্র“তা ও স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও প্রতিহিংসার জেরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিলবুনিয়া গ্রামের আ. রহিম ফকিরকে স্থানীয় কামলা বাজার থেকে আসামিরা ধরে নিয়ে যায়। পরে আসামি সোবাহান শেখ ও শাহাজান শেখের বড়িতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আসামীরা পরস্পর যোগাযোগে হত্যা করে। ঘটনায় পর দিন ১৪ নভেম্বর নিহতের বাবা চাহেব আলী ফকির ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনকে আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোরেলগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল কুদ্দুস ২০০৫ সালের ৩০ মার্চ ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানিতে ২৬ জন সাক্ষির স্বাক্ষ্য গ্রহনের পর যুক্তি-তর্ক বিচার বিশ্লেষণ করে মঙ্গলবার বিচারক এই রায় প্রদান করেন। মামলায় খালাস প্রাপ্তরা হলেন- কায়ুম শিকদার, শাজাহান হাওলাদার, শাহীদা বেগম, স্বরুপজান বিবি, মনোয়ারা বেগম, জোসনা বেগম, আফজাল শেখ, রফিক শেখ, আলমগীর হাওলাদার, শাহীন শিকদার, আকরাম শেখ, আক্কাস সরদার, সোবহান শেখ, আনছার হাওলাদার, আবজাল শেখ ও আকা শেখ। এদের বাড়ি মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিলবুনিয়া গ্রামে। রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর শেখ মোহাম্মদ আলী এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. মো. আলী আকবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *