বাগেরহাটে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাটে ব্যবসায়ী তুষার মোড়ল (২৮) হত্যা মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। রবিবার সকালে বাগেরহাট জেলা দায়রা জজ মিজানুর রহমান খান জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মৌভোগ গ্রামের বেলায়েত সেখের ছেলে লিয়াকত সেখ (৪০), মোক্তার সেখের ছেলে কাশেম সেখ ও যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিরপাশা (কাজীপাড়া) এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে ইমামুল ইসলাম ওরফে লিটন ওরফে দুলাল ওরফে রানা। তবে রায় ঘোষনার সময় শুধুমাত্র লিয়াকত সেখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক রয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় ১২ জন আসামীর মধ্যে ৬ জনকে বেকসুর খালাস ও অপর ৩ জন মারা যাওয়ায় মামলার অভিযোগ থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনী থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাত আটটার দিকে ফকিরহাট উপজেলার মানসা বাজারের বিমলের চায়ের দোকানে মৌভোগ গ্রামের জিন্নাহ মোড়লের ছেলে ব্যবসায়ী তুষার মোড়ল চা পান করছিলেন। এ সময় ১৫/২০ জনের এক দল সশন্ত্র সন্ত্রাসী তুষার মোড়লকে প্রথমে মাথায় গুলি পরে উপর্যুপুরী কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তারা হাত বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে স্বদর্পে চলে যায়। এ সময় স্থানীয় জনতার সহায়তায় নিহতের বড় ভাই আজাহার মোড়ল একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
পরের দিন নিহতের ভাই আজাহার মোড়ল বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৭ সালের পাঁচ অক্টোবর তৎকালীন বাগেরহাট ডিবি পুলিশের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এই মামলার ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জবানবন্দী গ্রহন এবং পর্যালোচনা শেষে আদালত রবিবার এই রায় ঘোষনা করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে কৌশুলী ছিলেন পিপি মোহাম্মদ আলী এবং আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, এ্যাড. জাহিদ হোসেন ও আঃ রাজ্জাক।