বন বিভাগের তদন্ত রির্পোট সুন্দরবনের পশুর নদীতে কয়লাবাহী কার্গো ডুবি মাষ্টারের অদক্ষতার কারনে ডুবে যায় জাহাজটি
বাগেরহাট প্রতিনিধি : সুন্দরবনের পশুর নদীতে কয়লাবাহী এমভি জিয়ারাজ কার্গো ডুবির ঘটনা অনুসন্ধানে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের গঠিত তিন সদস্যের কমিটি ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত রির্পোর্ট প্রদান করেছে। শুক্রবার দুপুরে পুর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমানের নিকট এ রির্পোট প্রদান করে। এ তদন্ত রির্পোটে কার্গো মাষ্টারের গাফিলতি ও অদক্ষতাকে দায়ী করে রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে।
রির্পোটে উল্লেখ করা হয়, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানী করা পাথর কয়লা সুন্দরবনের হারবাড়ীয়া থেকে এমভি গ্যালভ স্টোন নামক জাহাজ থেকে এমভি জিয়ারাজ ও এমভি সংগ্রাম নামক কার্গো জাহাজে কয়লা বোঝাইয়ের শেষ দিকে এমভি সংগ্রাম জিয়া রাজকে ধাক্কা দেয়। এ সময় এমভি জিয়ারাজ ছিটকে গিয়ে ৩ নং বয়ায় বেঁধে কয়লা বোঝাই করে। কয়লা বোঝাই শেষে বয়া থেকে স্রোতের তোড়ে রশি ছিড়ে চরে আটকে যায় এমভি জিয়ারাজ। তখন নদীতে ভাটা থাকায় কার্গোটি কাত হয়ে যায়। নদীতে জোয়ার আসলে কার্গোর মাথার দিক থেকে তলাফেটে পানি উঠতে থাকে। এ সময় কার্গোটিতে থাকা সিমেন্ট ও গামছা দিয়ে পানি বন্ধের চেষ্টা করা হয়। ওই অবস্থায় কার্গোটিকে খুলনার উদ্দেশ্যে চালাতে থাকে কার্গোর মাষ্টার। এক পর্যায়ে সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীর জয়মনিগোল বিউটি মার্কেট এলাকায় কার্গোটি ডুবে যায়।
এ তদন্ত প্রতিবেদনে চারটি সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। সুপারিশগুলো হচ্ছে, জলযানের যথাযথ ফিটনেস থাকার দরকার ছিল। জলযান দক্ষ চালক দ্বারা চালানোর শুপারিশ করা হয়েছে। মংলা বন্দরের জন্য গুরুত্বপূর্ন পশুর নদীতে এ ধরনের দূর্ঘটনা ঘটলে তড়িৎ গতিতে উদ্ধার করা যায় তার ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন ছিল। মংলা বন্দর ও বিআইডাব্লিউটিএর আইনে ৩০ দিনের মধ্যে ডুবে যাওয়া নৌ যানের মালিক নিজ উদ্যোগে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলে, বন্দর বা নৌ পরিবহন কতৃপক্ষ সে টিকে উদ্ধারের চেষ্টা করবে । এই আইন সংশোধন করে দূর্ঘটনা ঘটা মাত্র তড়িৎ গতিতে উদ্ধার কাজ শুরু করা যায় তার ব্যবস্থা থাকার প্রয়োজন ছিল।