যশোরে পুলিশের বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ
মিজানুর রহমান(যশোর): কোতয়ালি মডেল থানা ও সদর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত কতিপয় এসআই, এএসআই বিভিন্ন কারনে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে যুবক ও ব্যক্তিদের আটক করে। পরে তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার জন্য দর কষাকষি শুরু করে। যারা পুলিশ কর্মকর্তার চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয় তাদেরকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার দেখিয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করে। থানা সুত্রে জানাগেছে, বুধবার বিকেলে সদর পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই বাবুল চাঁচড়া এলাকায় শহিদুজ্জামান সহিদ নামে এক যুবককে আটক করে। সে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার গোয়ালীয়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। পুলিশ জানায়, শহিদুজ্জামান সহিদ একজন মাদক ব্যবসায়ী। শহিদুজ্জামান সহিদকে মাদকদ্রব্যসহ আটক করতে পারেনি। তবে পুলিশের কাছে খবর ছিল আটক সহিদ মাদকদের চালান নিয়ে যশোরে আসছিল। সহিদকে আটক করলেও তার কাছ থেকে মাদক উদ্ধার হয়নি। সহিদ মাদকের যে চালান নিয়ে আসছিল। সেই চালানটি সাতক্ষীরা থেকে আসার সময় সে অন্যর কাছে দিয়ে মাদকদ্রব্য স্কট করে নিয়ে আসছিল। অপরদিকে, কোতয়ালি থানার এসআই রায়হান শহরের রেলগেট পশ্চিম পাড়ার মৃত ওলি মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করে। তবে কি কারনে তাকে আটক করা হয়েছে সে ব্যাপারে ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী এএসআই নাজিরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানেন না বলে জানান। থানার সুত্রটি আরো জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে কোতয়ালি থানার অপর এক এসআই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩ যুবককে আটক করে। আটককৃত যবুককে কোতয়ালি থানা হাজতে রাখা হলেও কি কারনে তাদেরকে আটক করা হয় সে ব্যাপারে ডিউটি অফিসার কিছুই জানাতে পারেননি। পরবর্তীতে খবর পাওয়া যায়। আটককৃত ও পলাতক বেশ কয়েকজনের নামে ইয়াবা ও ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে থানার কয়েকজন এসআই, এএসআই ও পুলিশ কনস্টেবল জানিয়েছেন, কোতয়ালি থানার মারদাঙ্গা কয়েকজন এসআই, এএসআই ও সদর ফাঁড়িতে এটিএসআই বাবুল আক্তারসহ বেশ কয়েকজন এসআই এবং এএসআই প্রতিনিয়ত যাকে তাকে আটক করে থানা হাজতে ও থানার অধিনে ফাঁড়িতে রেখে মুক্তি দিতে দেন দরবারের এক পর্যায় পুলিশের চাহিদা মেটাতে পারলে ৫৪ ও ৩৪ কার্য্যবিধি আইনে আদালতে চালান দিচ্ছে। চাহিদা মেটাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে তাদেরকে বিভিন্ন মাদক দিয়ে নিয়মিত মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করেছেন। সুত্রটি দাবি করেছেন,বর্তমানে কোতয়ালি থানায় কর্মরত কতিপয় এসআই, এএসআই ও ফাঁড়িতে কর্মরত কর্মকর্তারা অবাধে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে প্রতিনিয়ত লাখ টাকা উপার্জনের খেলায় মেতে উঠেছে। কোতয়ালি থানার হাজতী রেজিষ্টার দেখলে বোঝা যাবে পুলিশের ক্ষমতার পরিমান কি পরিমান করা হয়েছে। সুত্রটি দাবি করেছেন, মাস খানেক পূর্বে কোতয়ালি থানায় কর্মরত এসআই বিধান কুমার বিশ্বাস ও থানার ওয়ারলেস অপারেটর কনস্টেবল অসীম কুমার ক্ষমতা অপব্যবহার করে মোটা অংকের উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ বিভিন্ন মহলে জানা জানি হয়। বিষয়টি পুলিশ সুপারের কান পর্যন্ত পৌছায়। পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান এসআই বিধান কুমার বিশ্বাসকে শাস্তিমূলক অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা পুলিশ ক্যাম্পে বদলীর আদেশ দেন।ওয়ারলেস অপারেটর অসীমকে কোতয়ালি থানা থেকে বদলী করে দেয়।এ ধরনের অভিযোগ সম্প্রতি চাঁচড়া ফাঁড়ির কনস্টেবল মাজেদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে পৌছানোর ফলে তাকেও বদলী করা হয়।মানুষকে জিম্মি করে ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে কতিপয় পুলিশ কর্তাদের পকেটভারীর লাগাম না টানলে দিনদিন অবস্থা এমন পর্যায় পৌছেবে যেখানে পুলিশ দেখলে মানুষ আতকে ওঠা ছাড়া আর কিছুই থাকবে না।তাই পুলিশের ক্ষমতা অপব্যবহারের হাত থেকে রক্ষা করতে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ উধ্বর্তন পুলিশের কর্তাদের দৃষ্টি কামনা করেছেন যশোরের সচেতন সমাজ।