গোপালপুরে ২ কোটি টাকা ব্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করলেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় বিষয়ক মন্ত্রী

News. Photo
এ কিউ রাসেল, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) :
মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নিমার্ণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’র আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মানকৃত টাঙ্গাইলের গোপালপুরের পৌরশহরের কোনাবাড়ি এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।
পরে স্বাধীনতা কমপ্লেক্সের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিন হন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গোপালপুর উপজেলা ইউনিট কমান্ডের কামন্ডার মো. আবদুস সোবাহান তুলার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বাই চান্স। স্বাধীনতা বিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তিনি সে কথা প্রমাণ করেছেন। মন্ত্রী আরো বলেন, যারা এতিমদের টাকা মেরে খেয়েছেন তারা বিদেশে গিয়েও রেহাই পাবেননা। দেশে ফিরলেই তাদের স্থান হবে লাল দালান। আগামীতে মুক্তিযোদ্ধারা ঈদ বোনাস পাবেন। বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন। প্রতি উপজেলায় ২৫টি করে আবাসন সুবিধা নির্মান করা হবে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের জন্য আরো স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বাংলাদেশ আগামীতে সিঙ্গাপুর অথবা মালয়েশিয়ায় পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক খন্দকার আসাদুজ্জামান এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ ইসলাম তালকুদার ঠা-ু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসূমুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প এল.জি.ই.ডি’র প্রকল্প পরিচালক মমিন মজিবুল হক সমাজি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার খন্দকার জহুরুল হক ডিপটি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের নির্বাহী পরিচালক এম. মিজানুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুল লতিফ সিটি, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) মরিয়ম আক্তার মুক্তা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হালিমুজ্জামান তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, মেসার্স সোহেল এন্ড কুন্ডু জেভি এন্টার প্রাইজ নামের স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক কোটি ৯৪ লাখ ৮২হাজার টাকা ব্যায়ে পৌরশহরের কোনাবাড়ি এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ত্রিতল ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। গত ২০১৩ সালের ১৫ নভেম্বর ভবন নির্মাণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও স্থানীয় আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামান এমপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *