কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য ২০ হাজার
মোঃ মোখাতার হোসেন: চাঁদপুর সদর বড়স্টেশন এলাকায় কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য ২০ হাজার টাকা। জানা যায় কিসোরীর ইজ্জতের মূল্য শালিসী বৈঠকে মাত্র ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় শালিসদের পকেটে গেছে ৫০ হাজার টাকা। শুক্রবার বিকেলে এক সালিসে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিশোরীর ভগ্নিপতি আবদুল রহিম বেপারী এ ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করেছেন। সালিসের ঘটনা নিয়ে এলাকার ব্যাপক আলোচনা ঝড় বইছে। জানা যায়, চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন এলাকার রেলওয়ে শ্রমিক কলোনীর অটোচালক (বর্তমানে পঙ্গু) শফিকুর রহমানের কিশোরী মেয়েকে (১৫) প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এলাকার রকেট ঘাটের বশিরউল্লা মিজির ছেলে কাউছার মিজি (২২) ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর সে অন্তঃসত্তা হয়ে যায়। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে ধর্ষিতা কিশোরী চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর ধর্ষণকারী কাউছার গাঢাকা দেয়। স্থানীয় বিল্লাল, রহিম বেপারী, হায়দার, কালু বেপারী, কাদের বেপারীসহ প্রায় ৮/১০ জন মডেল থানায় গিয়ে সালিস-দরবার করে দেয়ার কথা বলে দায়িত্ব নেয়। ২ দিন ঘোরাঘুরি করার পর শুক্রবার বিকেলে ৩নং কয়লাঘাট বিল্লাল মিয়ার গদিতে বসে এক সিদ্ধান্ত উপনীত হয়ে কিশোরীর মেডিক্যাল খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ভবিষ্যতে তাকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার সময় কাউছারের পিতা বশিরউল্লা সহযোগিতা করবে বলে এ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয় শফিকুর রহমানের উপর। অপরাদিকে সালিসের নামে বশিরউল্লার কাছ থেকে আরো ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে সালিসরা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয় বলে বশিরউল্লা জানায়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।