পাবনার ফরিদপুর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ফুল শাপলা

ফরিদপুর (পাবনা) প্রতিনিধি: বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কিছু সাদা শাপলা দেখা গেলেও লাল শাপলা হারিয়ে যাচ্ছে। তবে অযতেœ, অবহেলা, কৃষি জমিতে অধিক পরিমাণ সার ও কীটনাশক ব্যবহার করার কারণে দেশের জাতীয় ফুল শাপলা এলাকা থেকে হারিয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে। জানাগেছে, বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন এলাকার খাল-বিল জলাশয় ও নিচু জমিতে পানি থাকে। আর ঠিক এ সময় প্রাকৃতিকভাবে সেখানে জন্ম নেয় শাপলা। কয়েক বছর আগেও এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণ শাপলা ফুল জন্ম নিত। তখন চারিদিক এক প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্যে পরিণত হতো। বর্তমানে বিভিন্ন প্রজাতির শাপলার মধ্যে সাদা শাপলা দুই একটি দেখা গেলেও লাল শাপলা দেখাই যায় না। অভিযোগ উঠেছে বড়াল নদীর নাব্যতা হ্রাস, খাল-বিল, জলাশয় ভরাট করে কৃষি জমি তৈয়েরী, জলবায়ু পরিবর্তন, ফসলের জমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা হারিয়ে যাচ্ছে। লাল শাপলার আছে অনেক ভেষজ গুণ। আবার শাপলার ফল(ঢ্যাপ) দিয়ে গ্রাম এলাকার গৃহবধুরা এক ধরণের সুস্বাদু খই তৈয়েরী করত। বর্ষা মৌসুমে গ্রাম এলাকায় অনেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করত। আবার মাটির নীচে শাপলার মূল বা মোথা যা শালুক হিসাবে পরিচিত তা পানি কমে যাবার পরে তুলে সুস্বাদু খাদ্য হিসাবে ব্যবহার হতো। তবে আমাশয়ের জন্য এই মোথা বা শালুক অনেক উপকারী বলে জানা গেছে। বর্তমান হাট-বাজারে কিছু কিছু শালুক পাওয়া যায়। তবে প্রতি কেজি শালুক ৮০থেকে ১শত ২০টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। এ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, জাতীয় ফুল শাপলাকে অবশ্যই বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কারণ একদিকে শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। অন্যদিকে শাপলাকে সবজি হিসেবে সবাই খাদ্য তালিকায় ব্যবহার করে এবং এটার মুলটিও খাদ্য হিসেবে অনেক সুস্বাদু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *