পরিবারের নিকট ফিরিয়ে যাওয়ার ব্যকুলতা সাপাহারে কুড়িয়ে পাওয়া বোবা শিশুকে নিয়ে দারুন বিপাকে একটি পরিবার
সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে বোবা (বাকপ্রতিবদ্ধী) একটি শিশু কুড়িয়ে পাওয়ার ১৫দিনেও তার সন্ধানে কোন অভিভাবক না আসায় তার অভিভাবকের নিকট ফিরে যাওয়ার ব্যাকুলতায় শিশুটিকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে জিম্মায় গ্রহণ করা এক মাদ্রাসার শিক্ষক। জানা গেছে গত ২অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার খঞ্জনপুর মোড়ে অজ্ঞাত এক ৮-৯বছরের বোবা শিশু ঘুরা ফেরা করার এক পর্যায়ে কান্নকাটি শুরু করে। তার কান্না কাটি দেখে স্থানীয় লোকজন বালকটি অপরিচিত হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে স্থানীয় থানায় আসেন এবং একটি সাধারণ ডায়রী দায়ের করে প্রথমে ওই এলাকার স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার নিয়ামত আলী পরে তার নিকট থেকে ওই এলাকার বাখরপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসর সুপার মাওঃ জসিম উদ্দীন শিশুটিকে জিম্মায় গ্রহন করেন। এর পর এলাকাবাসী বোবা শিশুটিকে তার পরিবার/অভিভাবকের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সর্বাতœক চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। এভাবে জিম্মাদার জসিম উদ্দীনের বাড়ীতে তার ১৫দিন কেটে যায়। বর্তমানে চঞ্চল প্রকৃতির বোবা শিশুটি তার পরিবার/অভিভাবকের সান্নিধ্য পাওয়ার অপেক্ষায় অস্থির হয়ে উঠেছে। সে যে কোন সময় জিম্মাদার অভিভাবকের বাসা হতে পালিয়ে যেতে পারে। বর্তমানে শিশুটিকে নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক জসিম উদ্দীন দারুন বিপাকে পড়েছে। তিনি তার সকল কাজ কর্ম ফেলে রেখে শিশুটিকে পাহারা দিয়ে চলেছেন। জরুরী ভিত্তিতে বাক প্রতিবন্ধী শিশুটিকে এখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জসিম উদ্দীন তার লিগ্যাল অভিভাবকের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন এবং তার মোবাইল নম্বার ০১৭১৩-৭৭৮৬৪৫ এ যোগা যোগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন অন্যথায় নিরুপাই হয়ে তিনি শিশুটিকে সরকারের চিলড্রেন সেফ হোমে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিশুটির উচ্চতা প্রায় ৩ফুট গায়ের রং কালো পরনে লাল গেঞ্জী ও চেক লুঙ্গী, গলায় একটি পিতলের চেন পরিহিত, তার দাঁতগুলি অসমান এলোমেলো। বোবা শিশুটি সারাক্ষন কেঁদেই চেলেছে।