ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে নেমেছে সৈয়দপুরে আহমেদ উডক্রাফট কারখানার শ্রমিকরা
নীলফামারী অফিস: ন্যায্য মজুরী বাস্তবায়ন, শ্রম বৈষম্য প্রতিরোধসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনে নেমেছে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরস্থ আহমেদ উডক্রাফট কারখানা’র শ্রমিকবৃন্দ। (বুধবার) সকালে দাবী আদায়ের লক্ষ্যে তারা কোম্পানীর সামনে মানববন্ধন করে। এতে কারখানার পাঁচ শতাধিক শ্রমিক অংশ নেয়। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর বাইপাস সড়কের ওয়াপদা মোড় এলাকায় অবস্থিত আহমেদ উডক্রাফট কারখানাটি শুরু থেকেই শ্রমিকদের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। বিশেষ করে ওই কারখানার প্রডাকশন ম্যানেজার ভারতীয় নাগরিক সঞ্জয় গুপ্ত কর্মরত শ্রমিকদের উপর শারীরিক নির্যাতনসহ কথায় কথায় গালিগালাজ করেন। ওই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে শ্রমিক নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ থাকলে কর্তৃপক্ষ এর সুরাহা না করে উল্টো শ্রমিক নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। শ্রমিক নির্যাতন বন্ধসহ ন্যায্য মজুরী ও অন্যান্য দাবি বাস্তবায়নের দাবী জানালে কর্তৃপক্ষ গত ৭ অক্টোবর হঠাৎ করেই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। পূর্ব নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন ওই কারখানার শ্রমিকবৃন্দ। এদিকে, ওই কারখানায় শিশু শ্রম বন্ধ, নারী শ্রমিকের মজুরী বৃদ্ধি, সরকার নির্ধারিত শ্রম ঘন্টা বাস্তবায়ন, চাকুরীর নিশ্চয়তা, সাইকেল গ্যারেজ স্থাপন, কারখানায় মোবাইল ফোন চালানোর নিষেদ্ধাজ্ঞা তুলে নেয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা করা, ভারতীয় নাগরিক সঞ্জয় গুপ্তের অপসারণসহ বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার জন্য শনিবার থেকে আন্দোলনে নেমেছে শ্রমিকবৃন্দ। এ ব্যাপারে ওই কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বলতে ঘটনাস্থলে গেলে তিনি শ্রমিকদের আন্দোলনকে অন্যায্য বলে আখ্যায়িত করেন। তার বক্তব্যে আন্দোলনরত শ্রমিকবৃন্দ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং তারা কারখানা কর্তৃপক্ষ ও জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মিথ্যাবাদী বলে শ্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনরত শ্রমিকনেতা ভবেশ চন্দ্র জানান, কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবী মেনে না নিলে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলে তিনি হুশিয়ারী করেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শাহিন হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ একঘেয়মীতা ও সস্তা শ্রম নেয়ার মানসিকতার কারণেই শ্রমিক আন্দোলন হচ্ছে এবং এতে এলাকার শান্তিপুর্ণ পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে। তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পুরণে কারখানা কর্তৃপক্ষকে নমনীয় হওয়ার আহবান জানান।