সর্বত্র দুর্গোৎসবের আমেজ চিতলমারীতে ১শ ৩৫টি পুজা মন্ডপ প্রস্তুত
মুন্সী দেলোয়ার হোসেন, চিতলমারী: বাঙ্গালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব সারদীয় দূর্গাপুজার আমেজ এখন এ উপজেলার সর্বত্র। দেবীর বোদন, আমন্ত্রণ ও অধিবসের মধ্য দিয়ে ৫ দিন ব্যাপি সারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে আগামী ১৯ অক্টোবর থেকে। দশমীবিহিত পূজা ও বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। এবার চিতলমারী উপজেলায় ১শ ৩৫টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উৎসবের দিন ঘনিয়ে এলেও তার প্রভাব এখনও বাজারে তেমন একটা পড়েনি। চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদ হোসেন জানান, এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট ১শ ৩৫টি সার্বজনীন পূজা মন্ডপ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে বড়বাড়িয়া ইউনিয়নে ১৯টি, কলাতলা ইউনিয়নে ৪টি, হিজলা ইউনিয়নে ১৭টি, শিবপুর ইউনিয়নে ২টি, চিতলমারী সদর ইউনিয়নে ৩১টি, চরবানিয়ারী ইউনিয়নে ৪৪টি ও সন্তোষপুর ইউনিয়নে ১৪টি পূজা মন্ডপ স্থাপন করা হয়েছে। পুূজা মন্ডপ গুলোতে চলছে প্রতিমা শিল্পীদের শেষ মুহুর্তের রং তুলির আচড়, আলোক সজ্জা ইত্যাদি। এবার প্রতিটি মন্ডপে আলোকসজ্জা তোরণ নির্মাণসহ সাজ-সজ্জা করা হবে সামর্থ অনুযায়ী। ইতোমধ্যে এসব কাজও শুরু হয়েছে। গত বছর এ উপজেলায় ১শ ৩০টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার ৫টি মন্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে। শেষ মুহুর্তে আরো দু’একটি মন্ডপ বাড়তে পারে বলে পূজা উদ্যাপন পরিষদ আভাস দিয়েছেন। শারদীয় দুর্গাপূজা দ্বারপ্রান্তে এলেও বাজারে তার প্রভাব এখনও পড়েনি এবং কেনাকাটার উৎসব এখনও জোরেশোরে শুরু হয়নি। শাড়ি তৈরি পোশাকের দোকান গুলোতে কিছু কেনাকাটা শুরু হয়েছে। বেচা-বিক্রির এ অবস্থায় ব্যাবসায়ীরা হতাশ। তবে পূজা শুরুর দু’এক দিন আগে বেচা বিক্রি বাড়বে বলে ব্যাবসায়ীরা আশা করছেন। কিন্তু শাখা ও সিদুরের দোকান গুলোতে কেনা কাটার কিছু ভীড় দেখাগেছে। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। মন্ডপগুলোতে স্থায়ী পুলিশ পাহারা ছাড়াও থাকছে র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন র্যাবসহ একাধিক মোবাইল টিম ও স্ট্যান্ড বাইফোর্স। অর্থাৎ পুরো মন্ডপ এলাকা থাকবে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষপুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এম,পি শারদীয় দুর্গাপূজায় যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘঠনা না ঘটে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য দলীয় নেতা কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। আওয়ামীলীগসহ রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও পূজা উদযাপনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানাগেছে। এদিকে শারদীয় দুর্গাপুজা উপলক্ষে শেখ হেলাল উদ্দীন এম,পি ও সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য হেপী বড়াল সকলকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।