বেনাপোলকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করতে সাংবাদিকদের সহযোগীতা চাইলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ —–

Benapole--AL Motbinimoy picture--07-10-15বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোলকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করতে সাংবাদিকদের সহযোগীতা চাইলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।আজ বুধবার সকালে প্রেসক্লাব বেনাপোলে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা করেছেন। মতবিনিময় সভায় শার্শা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, বেনাপোলে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। অপরাধ কর্মকান্ড দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমরা বেনাপোলকে সন্তাসমুক্ত করতে চাই। তিনি আরো ও বলেন, এখানে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও হত্যার মতো ঘটনা সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন থেকে এসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন ব্যাবস্থা নেন না।
কাগজপুকুর বাজারে আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি আ:সামাদ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, বেনাপোলের পুলিশ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে তাদের লালন করছে। মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল পৌর আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ আহম্মেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, বেনাপোল পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন ও শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রাসেল। তিনি বলেন, সরকারকে যারা কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দিচ্ছেন সেই ব্যবসায়ীদের রাজস্ব খাতে জমা দেওয়ার টাকা প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই হচ্ছে অথচ পুলিশ নীরব রয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপূর্ব হাসানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ওসি ছোট-খাট ঘটনায় আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে আসেন। অথচ সামাদ খুনের অভিযোগে আটক সন্ত্রাসী আমিরুল ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিএসএফ তাকে আটক করে। সেখান থেকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে বিজিবি পুলিশের কাছে সোপর্দ করলে ও ওসি এ ব্যাপারে তাকে রিমান্ড আবেদন করেননি।
শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রাসেল বলেন, গত কয়েকমাস আগে বেনোপোল ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবন ভাঙচুর ও পুলিশ পেটানোর মামলায় ওসি অপূর্ব হাসান ২০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন সন্ত্রাসী রাশেদের কাছ থেকে। তিনি আরো বলেন, এসব কারণে এখানে সন্ত্রাসীরা প্রভাব বিস্তার করায় শান্তিপ্রিয় মানুষ আতঙ্ক ও অশান্তিতে ভুগছে। পুলিশের এসব কর্মকান্ডের কারনে ওই সমস্ত সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *