মোল্লাহাটে আকিজ সিমেন্ট’র ওজন কম হওয়ায় জনরোষের শিকার ডিষ্ট্রিবিউশন অফিসার
মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: মোল্লাহাটে আকিজ সিমেন্ট’র প্রতি বস্তায় ৮/১০ কেজি ওজন কম হওয়ায় ওই কোম্পানির এক ডিষ্ট্রিবিউশন অফিসারকে সীমাহীন জনরোষে পড়তে হয় বলে জানা গেছে। সকাল-১০টার দিকে উপজেলার সদরে রূপালী ব্যাংক সংলগ্ন একটি ভবনের ছাদ ঢালাই কালে জন রোষের শিকার ওই ব্যক্তিকে থানা পুলিশ উদ্ধার করে । প্রত্যক্ষ দর্শি ও গ্রাহক সুত্র জানায়-মোল্লাহাটে আকিজ সিমেন্ট প্রতি বস্তায় ৫০ কেজির স্থলে মাত্র ৪০/৪২ কেজি থাকলেও ৫০ কেজির কথা বলেই গ্রাহকদের নিকট বিক্রি করা হয়। ঘটনার কিছুক্ষন পূর্বে মধুমতি নদীর ফেরীঘাটে অবস্থান করা একটি বার্জ/ট্রলার থেকে ৭৫ বস্তা আকিজ সিমেন্ট ক্রয় করেন গাড়ফা গ্রামের লায়েক সিকদারের ছেলে মামুন সিকদার। মিস্ত্রিরা কাজ শুরুর কালে বুঝতে পারে বস্তায় সিমেন্ট কম আছে। এরই মাঝে ওই স্থলে উপস্থিত হন ওই কোম্পানীর স্থানীয় ডিষ্ট্রিবিউশন অফিসার রেজাউল। তার উপস্থিতিতে সিমেন্ট ওজন করে দেখা যায় প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় ৪০/৪২ কেজি সিমেন্ট রয়েছে। পরে ওই গ্রাহক উক্ত রেজাউলকে একটি দোকান ঘরে আটক কের সিমেন্ট’র টাকা ফেরৎ চান। ওই সময় শতাধিক জনতার ভিড়ে কিছুটা যান জট সৃস্টি হয় । একপর্যায়ে থানা পুলিশ’র এএসআই মোস্তফা ও তারেক সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় আনেন। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যস্ততায় ওই ব্যক্তি মুক্ত হয়। গাড়ফা গ্রামের অপর এক গ্রাহক সিরাজ সিকদার বলেন-তিনি তার ভবনের ছাদ ঢালাই করেছেন আকিজ সিমেন্ট দিয়ে। তার ব্যাবহৃত ৩০০ বস্তার সব গুলোতে ওই পরিমান সিমেন্ট কম ছিলো। তিনি চরম ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছেন। তাই তিনি ক্ষতিপুরন দাবী করেন। ডিষ্ট্রিবিউশন অফিসার পরিচয়ে জনরোষের শিকার রেজাউল বলেন-কোম্পানী থেকে সিমেন্ট কম দেয়া হয়না, জাহাজ/ট্রলারে এজাতীয় কর্মকান্ড হয়।