আবারো দামুড়–দার মাথাভাঙ্গা-ভৈরব নদিতে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ॥ বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ কয়েক গ্রামের লোকজনের দুর্ভোগ

CHUADANGAR-DAMURHUDA-PICTUR-(02)-04-10-15হাবিবুর রহমান,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মাথাভাঙ্গা নদীসহ সুবলপুর-পাটাচোরা ভৈরব নদিতে আবারও অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।এই বাঁধ নির্মাণের কারণে নদীতে স্রোত বেড়ে ভেঙে গেছে পাটাচোর গ্রামবাসী উদ্দোগে ব্র্যাকের সহযোগিদায় বছর খানেক আগে প্রায় ২লক্ষ টাকা ব্যায়ে সুবলপুর-পাটাচোরা ভৈরব নদের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে সুবলপুর ও এর আশপাশ গ্রাম থেকে আসা পাটাচোরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ ঐগ্রামে আসা-যাওয়া করার সাধারন লোকজন। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সুবলপুর-পাটাচোরা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা ভৈরব নদ। পাটাচোর গ্রামে রয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই পাটাচোর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে সুবলপুর, রঘুনাথপুর, আমডাঙ্গা, কাঞ্চনতলা, কিসমতপুর ও এর আশাপাশ গ্রামের ছেলে, মেয়েরা। পাটাচোরা গ্রামবাসী গ্রামের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিদার্থে পাটাচোরা গ্রামবাসীর উদ্দোগে ব্র্যাকের সহযোগিতায় সুবলপুর-পাটাচোরা ভৈরব নদের ওপর বছর খানেক আগে প্রায় ২লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। গত কয়েক দিন আগে অতিরিক্ত ¯্রােতের তোড়ে ভৈরব নদীর উপর তৈরী সাঁকোটি ভেঙে যায়। এলাকাবাসীরা জানান, সাঁকোর আগে পিছে মাথাভাঙ্গা নদীতে ও ভৈরবে অবৈধ ভাবে বাঁধ দেওয়ায় নদীর পানি বাঁধা গ্রস্থ হওয়ায় ¯্রােত বেড়ে গিয়ে সাঁকোটি ভেঙ্গে গিয়েছে। রঘুনাথপুর ব্রিজের নীচে মাথাভাঙ্গা নদীতে যে বাঁধটি রয়েছে সেটি ওই গ্রামের হারু হালদার ও ভৈরব নদে যে বাঁধ রয়েছে সুবলপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল আলিম, একই গ্রামের মৃত ছাব্দার আলীর ছেলে আ. খালেক, আবুল কাশেমের ছেলে মিলন, লোকমান হালসনার ছেলে সিদ্দিক এবং আ. রহমানের ছেলে মিরাজুলের। বাঁধ গুলো উচ্ছেদ করার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্ঠি কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও সুবলপুর-পাটাচোরা ভৈরব নদের ওপর একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণের জন্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের সুদৃষ্টি কামনা করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। উল্লেখ্য, এর আগে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাথাভাঙ্গা-ভৈরব নদী থেকে অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদ করার পর আবারো বাঁধ নির্মাণ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *