বদলগাছীর কোলা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকল্পের কাজ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ৫নং কোলা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকল্পের কাজ না করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৮ লাখ ৭১ হাজার ৩শ ১০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ৭/৮ বছর পূর্বে এল.জি.এস.পি-২ প্রকল্পের অর্থায়নে কেশাইল শহিদুলের বাড়ী হতে বুলুর বাড়ী পর্যন্ত খোলা ড্রেন নির্মান করা হলেও ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে এল.জি.এস.পি-২ এর কর্মদক্ষতা (পিবিজি) বরাদ্দ থেকে কেশাইল শহিদুলের বাড়ী হতে বুলুর বাড়ী পর্যন্ত খোলা ড্রেন নির্মান ১নং প্রকল্পের বিপরীতে ১ লাখ টাকা, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছর এ.ডিপি বরাদ্দ থেকে কোলা ইউপির কোলা গ্রামের আফছারের বাড়ী হতে মজিবর মন্ডলের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তায় ইট সোলিং ৯নং প্রকল্পের বিপরীতে ১ লাখ টাকা। একই অর্থ বছর এল.জি.এস.পি -২ দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ থেকে পুখুরিয়া দছির মেম্বারের বাড়ী হতে আবুলের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তায় ইট সোলিং ১নং প্রকল্পের বিপরীতে ১ লাখ টাকা, ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছর কোলা ইউপির ভোলার পালশা গ্রামে ইচাহাক মন্ডলের বাড়ী হতে হাফেজ আব্দুল মতিনের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তায় এইচবিবি করন করা হলেও ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছর এল.জি.এস.পি বরাদ্দ থেকে উপরোক্ত প্রকল্পে ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছর এল.জি.এস.পি অর্থায়নে দক্ষিন কেশাইল মসজিদ হতে আজিমের বাড়ী পর্যন্ত সাবেক আজাহার মেম্বার ইউড্রেন নির্মান করেন। অথচ ২০১৩/২০১৪ অর্থ বছর এল.জি.এস.পি’র ১ম কিস্তির অর্থ থেকে উক্ত প্রকল্পে ৪৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছর এল.জি.এস.পি’র অর্থায়নে ভোলার পালশা পাকা রাস্তা থেকে উজ্জলের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তায় ইট সোলিং ১নং প্রকল্পের বিপরীতে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ করে কাজ না করেই ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছর এল.জি.এস.পি থেকে একই রাস্তা অর্থাৎ ভোলার পালশা রেবেকার বাড়ী হতে পূর্ব দিকে দোকান পর্যন্ত রাস্তা ইট সোলিং ৫নং প্রকল্পের বিপরীতে ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ করে যতসামান্য কাজ করা হয়। ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছর এল.জি.এস.পি-২ এর কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি (পিবিজি) অর্থ হতে ভান্ডারপুর গতুমালীর বাড়ীর মোড় থেকে আমারনের বাড়ী পর্যন্ত ইট সোলিং ১নং প্রকল্পের বিপরীতে ২ লাখ টাকা এবং ভান্ডারপুর আব্দুল মান্নানের বাড়ী হতে ভান্ডারপুর ওয়াক্তিয়া মসজিদ পর্যন্ত রাস্তায় ইট সোলিং ২নং প্রকল্পের বিপরীতে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩শ ১০ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু ১নং প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে ২নং প্রকল্পের কাজ একই সঙ্গে করা হয় এবং ২নং প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাত করা হয়। উপরোল্লিখিত প্রকল্প সমূহ সহ এল.জি.এস.পি-২ এর বরাদ্দ থেকে অন্যান্য প্রকল্পগুলোর কাজ বিধিমতে করা হয়নি বলে সরজমিন তদন্ত কালে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা ও দেখা যায়। কোলা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী মুকুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়