ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় নাগরপুরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্স গুরুতর আহত ৩ বখাটের ৬ মাসের কারাদন্ড
শহিদুল হক এলিস,নাগরপুর(টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ৭ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে প্রকাশ্যে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্সের ঘটনা ঘটেছে। বখাটে দলের হামলায় ওই ছাত্রীর পরিবারের তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র ও ১জনকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহষ্পতিবার সকালে উপজেলার সহবতপুর বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। নাগরপুর থানা পুলিশ এ ঘটনার মুলহোতা বখাটে আকবর দেওয়ানকে (১৯) আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডর আদেশ দেন। নাগরপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোহা. আব্দুর রকিব খান জানান, উপজেলার সহবতপুর উত্তরপাড়া গ্রামের খায়রুল কবিরের কন্যা ও কাজী এমএম মোহাম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীকে চরডাঙ্গা গ্রামের রশিদ দেওয়ানের বখাটে ছেলে আকবর দেওয়ান প্রায়ই রা¯তাঘাটে উত্যক্ত করত। বৃহষ্পতিবার সকালে ওই ছাত্রী স্কুলের যাওয়ার উদ্দেশ্যে সহবতপুর বাজারে পৌছলে বখাটে আকবর দেওয়ান প্রকাশ্যে তাকে উত্যক্ত করে।বখাটে কর্তৃক প্রকাশ্যে লাঞ্চিত হবার পর মেয়েটি স্কুলে না গিয়ে বাড়ী ফিরে বিষয়টি তার বাবা কে জানান। পরে ছাত্রীর বাবা সহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এঘটনার প্রতিবাদ করে এবং বখাটেকে চড় থাপ্পর মারে। এঘটনার জের ধরে এর কিছুক্ষন পর বখাটে আকবর দেওয়ান তার গ্রাম চড়ডাংগা থেকে ৩০/৪০ জন সশস্ত্র লোকজন নিয়ে সহবতপুর বাজারে অবস্থান নেয়া ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে মানিক মিয়া (২৮), মো. সফিক মিয়া (৩৫) ও আমির হোসেন (৪৫) গুরুতর আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানে আমির হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। হামলার সময় কমপক্ষে আরো ৫ জন নিরীহ পথচারী আহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। হামলা চলা কালে গোটা সহবতপুর বাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে নাগরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সেখান থেকে পুলিশ ইভটিচার আকবর দেওয়ান কে আটক করে। আটক বখাটে আকবরকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আলমগীর হুছাইন তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের দন্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। এঘটনায় পৃথক আরেকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।