নড়াইলে শিশু শাহিনের নৃশংশ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী
নড়াইল প্রতিনিধি: নৃশংশ নির্যাতনের পর গুম হওয়া ও লাশ উদ্ধারের পর শিশু শাহিনের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ ও মানব বন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ০১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় নড়াইলের লোহাগড়া থানার নলদী বাজারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এলাকার ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষকসহ সর্বস্তরের জনগন এ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। মানববন্ধনে এ লোমহর্ষক কাহিনীর বর্ননা দিয়ে বক্তব্য দেন নলদী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বাদশা, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ, মিজানুর রহমান, মেহেদী হাসান, লিয়াকত হোসেন প্রমুখ। বক্তারা প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে এ হত্যার সাথে জড়িত বর্বরদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সর্বচ্চে শাস্তির দাবী করেছে। উল্লেখ্য, ২৪সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বেলা তিনটার দিকে শাহিন বাড়ির এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। স্বজনরা অনেক খোজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পায়নি। বুধবার ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নিহত শাহিনের বাড়ির অদূরে কতিপয় শিশু বাগানে তেতুল পাড়াতে গিয়ে ঝোপ সংলগ্ন একটি গর্তে মাটিচাপা দেওয়া একটি মৃতদেহের বেরিয়ে থাকা হাত দেখতে পায়। পরে এলাকাবাসী ও স্বজনরা মৃতদেহটি শাহিনের বলে সনাক্ত করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। মৃতদেহের ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে কোথাও ফেলে দেয়া হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি,জায়গাজমির বিরোধের জের ধরে প্রতিহিংসার বশবর্তি হয়ে প্রতিবেশি শিমুলের নেতৃত্বে শিশুটিকে হত্যা করে মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে গর্তে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে । শাহিন কালাচাঁদপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী শওকত হোসেনের ছেলে। সে নোয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় ৫ জন কে আসামী করে একটি মামলা নং ১ তারিথ ১/১০/১৫ দায়ের হয়েছে। পুলিশ মামলায় অভিযুক্ত লিটন, লিটু, জাহাঙ্গীর ও শাশীমা বেগমকে আটক করেছে।