বাস নেই তাই ট্রাকই এখন ভরসা
নিজস্ব প্রতিনিধি : বাস না পেয়ে ট্রাকে করেই বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার সকালে আরও অনেককে এভাবে স্বজনদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশনরোড়, চান্দনা-চৌরাস্তা মোড়, কোনাবাড়ি, মৌচাক, সফিপুর, কালিয়াকৈরের পল্লীবিদ্যুৎ, চন্দ্রা ত্রি-মোড় এলাকা ঘুরে শত শত যাত্রীকে যানবাহনের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
আর এই সুযোগে পরিবহন ব্যবসায়ীরা ভাড়া বাড়িয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা।
ভোগড়া এলাকার স্টার লাইট স্যুয়েটার কারখানার শ্রমিক জসিম উদ্দিন যাবেন সিরাজগঞ্জ। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও বাস না পেয়ে ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাতেই কারখানার শ্রমিকরা বাস নিয়ে গ্রামে রওনা হয়ে গেছে’। তাদের সঙ্গে যাইনি, এখন পড়েছি বিপদে।
পরে ভোগড়া বাইপাস মোড়ে দুইশ টাকা ভাড়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে একটি ট্রাকে ওঠেন তিনি। অগ্রিম টিকেট কেটেও সময়মত বাস না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন গাইবান্ধার আবুল বাশার।
তিনি অারো জানান, ভোগড়া বাইপাস এলাকার জাকির ট্রাভেলস থেকে দুই দিন আগে সকাল ৮টার টিকেট কেটেছেন তিনি। কিন্তু দুই ঘণ্টা পরও বাসের খবর নেই।
একই অবস্থা রংপুরের যাত্রী জয়নাল আবেদীনের। নিউ এস আলম পরিবহনের স্থানীয় কাউন্টার থেকে দুইদিন আগে অগ্রিম টিকিট কেটেছেন; সময়ের আগেই কাউন্টারে এসেছেন। কিন্তু দীর্ঘসময় অপেক্ষার পরও বাসের দেখা মেলেনি। পরিবহন ব্যবসায়ীরা সূচি বিপর্যয় ও যানবাহনের সঙ্কটের জন্য দায়ী করছেন যানজটকে।
জাকির ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার বাবুল সরকার জানান, দুই দিন আগে তাদের যেসব বাস উত্তরবঙ্গে গিয়েছিল, যানজটের কারণে সেগুলো সময়মতো ফিরতে না পারায় জটিলতা তৈরি হয়েছে।
তিনি অারো জানান, বুধবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে চার ঘণ্টায় গাজীপুরে পৌঁছালেও ভোগড়া বাইপাসে এসে চার ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে তাদের। পরে ৯টার দিকে সেখান থেকে গাড়ি চলতে শুরু করলেও গতি ছিল ধীর।
‘লোকসান পোষাতে’ যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে স্বীকার করে নিসর্গ পরিবহনের চালক জালাল উদ্দিন বলেন, ‘যানজটের কারণে একবার ট্রিপ নিলে সারা দিনে আর ট্রিপ ধরা যাবে না’। তাই ভাড়া একটু বেশিই নেয়া হচ্ছে।
এদিকে সকাল থেকেই গাজীপুর থেকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যাওয়ার রাস্তায় গাড়ির তীব্র চাপ দেখা গেছে। বিভিন্ন মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। কিছু কিছু রাস্তায় গাড়ি চললেও গতি ছিল ধীর।