ঘোড়াঘাটে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষক/শিক্ষিকাদের স্কুলের জমি দখল কারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার ৯৪ধারা মোতাবেক নোটিশ প্রদান
ইফতেখার আহম্মেদ খান বাবু : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সদর ওসমানপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্ধারকৃত জমির বিপরীতে গত ৩০বছর ধরে স্কুলটি ৫০শতক জমি দখলে রেখে ভোগকারী হুমায়ুন কবির মিন্টু নামক ব্যাক্তি অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত বিদ্যালয়ের ১৪জন শিক্ষক/শিক্ষিকার নামে ফৌঃ কাঃ বিঃ ৯৪ ধারা মোতাবেক ঘোড়াঘাট থানার এসআই (নিঃ) মোঃ আরিফুল ইসলাম অদ্য ১৩/০৯/১৫ইং তারিখে ইস্যূকৃত একটি নোটিশ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহমুদ আলীকে প্রদান করেন। যাহাতে আগামী ১৮/০৯/১৫ইং তারিখ সকার ১০ঘটিকায় থানার অফিসার ইনচার্জ এর কার্যালয়ে হাজির থাকার জন্য বলা হয়। অন্যথায় ১৪ জন শিক্ষক/শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানানো হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। স্কুল সূত্রে জানা যায়, গতকাল ১২/০৯/২০১৫ইং তারিখে জমির দাতা মোঃ শাহজাহান খান, স্কুল সভাপতি মোঃ আবুল বাশার মন্ডল, প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহমুদ আলী, পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য, সকল শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে উক্ত বালিকা বিদ্যালয়ের নামীয় ১’শ শতক জমির মধ্য ৫০ শতক জমি প্রায় ৩০ বছর ভোগ দখল কারীদের নিকট হতে উদ্ধার করে সীমানা প্রাচীর ও পিলার গাড়ার কাজ সম্পাদন করা হয়। যা এতদিন যাবত হুমায়ুন কবির মিন্টু এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ভোগ দখল করে আসছিলেন। গতকাল সহজেই আবুল কালাম আজাদ সাবেক চেয়ারম্যান তিনি স্কুলকে তাদের প্রাপ্ত জমি বুঝিয়ে দেন এবং তিনি প্রয়োজন হলে বালিকা বিদ্যালয়টির উন্নয়নের জন্য নিজের সর্বাধিক সহযোগিতা সকল সময়ে থাকবে বলে উপস্থিত সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন। তিনিও বিদ্যালয়টির উন্নয়ন চান। তার অজান্তে এতদিন যাবত জমিটি নিজ জমির সাথে মিশে ছিল, এ ব্যাপারে তিনি অবগত ছিলেন না। কিন্তু অপরজন এলাকার প্রচন্ড প্রভাবশালী, অর্থবৃত্তবান কিছু রাজনৈতিক লিডারদের দেখভালকারী। এতদিন যাবত অবগত থাকার পরেও বালিকা বিদ্যালয়টির জমি বাহুবল প্রয়োগের মাধ্যমে ভোগ দখলকারী হুমায়ুনকারী মিন্টু গতকাল রাতের অন্ধকারে তার আশ্রয়ে কেয়ারটেকার নামে অন্যায় কাজ সম্পাদনকারী মোঃ বাবলা মিয়া ও ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ দল ওসমানপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা পিলার ও বেড়া প্রায় রাত ১০.৩০ মিনিটের দিকে ভেঙ্গে ফেলার খবর স্কুলের লোকজন সাধারন মানুষের মাধ্যমে জানতে পেরে তাদের ধাওয়া দিলে উক্ত বাবলা মিয়া ও তার সংঘবদ্ধ দলটি তাড়া খেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরের দিন সকালে স্কুল শুরু হলে থানা হতে নোটিশ প্রাপ্ত হন শিক্ষক মোঃ মাহমুদ আলী। সেই সাথে সিমানা প্রাচীরের কাজে নিয়োজিত রাজমিস্ত্রীকে অত্র এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ মুঠো ফোনের মাধ্যমে কাজ বন্ধ করার জন্য বলেন। কথা না শুনলে অবস্থা খারাপ হবে বলে হুমকীও প্রদান করেন বলে স্কুলের শিক্ষকগণ সাংবাদিককে জানান। ওসমানপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ন্যায্য ভাবে দাতার দানকৃত জমি জোর পূর্বক দখল সংক্রান্ত বিষয়ে অত্র এলাকায় চাঁপা ক্ষোভ সাধারন জনতার মাঝে বিরাজ করছে। যে কোন সময়ে বড় ধরনের অনাকাঙ্খিত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে এলাকার সচেতন সমাজের ব্যক্তিবর্গ দাবী করেন। তারা আরও জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলার মধ্য একটি নামকরা বিদ্যালয়ের মধ্যে ওসমানপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টির নাম ডাক সকলের জানা। অথচ এই স্কুলের জমি ৩০ বছর দখলে রেখেও গতকাল উদ্ধার করা হতে না হতে আবার ঝামেলার সৃষ্টি করল হুমায়ুন কবির মিন্টু নামীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের মঙ্গলকামনাকারী সকল ব্যক্তিবর্গ। তারা বলেন, কেউ স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য ১’শ শতক প্রদান করেছে আর এই সমাজের স্বার্থলোভী ব্যক্তি তা আবার নিজের বলে দখলও করতে পায়তারা চালাচেছ। এটা খুবই দুঃখ জনক ঘটনা। তাই ওসমানপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি রক্ষার্থে ও এর সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে “মমতাময়ী, জননেত্রী, দেশরতœ, বাংলার নারীদের অহংকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সকল উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অত্র স্কুলের সকল ছাত্রীদের অভিভাবকগণ”।