ভূঞাপুরে নিয়োগ কমিটির সদস্যের স্বাক্ষর ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ

এ কিউ রাসেল, গোপালপুর (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নিকরাইল বেগম মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে নিয়োগ কমিটি, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ অভিভাবকরা নিয়োগ স্থগিতের জন্য স্থানীয় এমপি খন্দকার আসাদুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পায়নি। জানা যায়, উপজেলার নিকরাইল বেগম মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করে সর্বশেষ গত ১৪ আগষ্ট নির্ধারণ করা হয়। টাঙ্গাইলের সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে মোট ১৭ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। পরীক্ষায় নকল করার অপরাধে একেএম ইকবালকে পরীক্ষা থেকে বিরত রাখেন। ওই শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল ঘোষণা না করে ডিজি ও সরকারি প্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে স্থগিত ঘোষণা করেন। এর আগে প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষকসহ আরো ৪টি বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান পাভেলের বিরুদ্ধে। অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ বন্ধে নিয়োগ কমিটির সদস্য, অভিভাবক প্রতিনিধি, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অনিয়মের অভিযোগপত্রসহ স্থানীয় এমপি খন্দকার আসাদুজ্জামানের কাছে নিয়োগ স্থগিতের জন্য ২১ আগষ্ট আবেদন করা হয়। ওইদিনই অবৈধ নিয়োগ স্থগিতের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক শিক্ষক নিয়োগ স্থগিতের নির্দেশ দেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের সভাপতি এমপির দেয়া ডিও লেটারকে বৃঙ্গাগুলি দেখিয়ে নিয়োগ কমিটি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের স্বাক্ষর ছাড়াই গত ২২ আগষ্ট টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষককে নিয়োগ দেন। নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী ইব্রাহীম তালুকদার, হাসানুজ্জামান, আবু সাঈদ, নজরুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, টাকার বিনিময়ে যাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাকে পরীক্ষার হলে নকল করার অপরাধে বহিস্কৃত করা হয়েছিল। নিকরাইল বেগম মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান পাভেলের সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ভুঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে নিকরাইল বেগম মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। নিয়োগে কোন অনিয়ম পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *