নিম্ন মানের কাজ করে যুবলীগ নেতার সরকারী অর্থ আত্মসাদ

BBBBBBBমোতালেব হোসেন, নীলফামারী অফিস : জুন মাসের সৈয়দপুর উপজেলার সর্বশেষ বরাদ্দ আসে ২৪ লক্ষ টাকা উক্ত টাকা উপজেলা পরিষদ টেন্ডার না করে আর, এফ,কিউ এর মাধ্যমে গোপনে কোটেনের মাধ্যমে উক্ত টাকা সাতটি প্রকল্পে বরাদ্দ দেন। প্রকল্প সাতটি কয়েকজন ঠিকাদারকে গোপন কোটাশনের মাধ্যমে ভাগা ভাগি করে দেন বলে নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একাধিক দলীয়ও স্থানীয় ঠিকাদার অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা ইঞ্জিনিয়র জাকিরুল ইসলাম এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, যুবলীগ নেতা আসাদুল ইসলাম আসাদ সৈয়দপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এর জামাতা পেয়েছেন চারটি কাজ একটি পেয়েছেন সুফিয়া কষ্ট্রাকশন এমপি সাহেবের ভাই। মনোয়ার ট্রেডার্স পেয়েছেন একটি বিএনপি সমর্থিত আর একটি পেয়েছেন সৈয়দপুরের বিশিষ্ঠ্য পরিবহন ব্যবসায়ী নাদের এন্টারপ্রাইজ। যুবলীগ নেতার একটি প্রকল্প কাজ হচ্ছে সৈয়দপুর উপজেলা বিভিন্ন বিদ্যালয়ের উচু নিচু বেঞ্চ সরবরাহ বাবদ বরাদ্দ ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৭০ টাকা উক্ত কাজের অফিস হতে মালামাল ডেলিভারী লিষ্ট সংগ্রহ করে দেখা যায় যে, মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরকৃত কোন কোন স্কুলে কত জোড়া তার বর্ণনা ও স্কুলের নাম প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর সহ তিন প্রিষ্টার লিষ্ট পাওয়া যায়। লিষ্ট অনুযায়ী খোর্দ্দ সোনাখূলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমরা মাত্র পাঁচ জোড়া বেঞ্চ পেয়েছি কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আমার কাছে স্বাক্ষর নিয়েছে দশ জোড়ার অনুরুপ ভাবে হাজী পাড়া দাখিল মাদ্রাসা ও সৈয়দপুর রাজ্জাকিয়া গফুরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় গিয়ে প্রধান শিক্ষক কে জিজ্ঞাসা করলে ওনারা জানান যে বেঞ্চ পেয়েছেন ছয় জোড়া কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস স্বাক্ষর নিয়েছে সাত জোড়া করে। লিষ্ট অনুযায়ী কাজীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গেলে দেখা যায়। সাত জোড়ার মধ্যে নিম্ন মানের হওয়ায় প্রথম দিনেই একজোড়া ভেঙ্গে যায়। নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী নিম্ন মানের কাঠ একে বারে বটকাঠ দিয়ে সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে। উক্ত যুবলীগ নেতা সরকারী টাকা আত্মসাদ করেছে এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারে সঙ্গে মোবাইল টেলিফোনে জানতে চাইলে তারা বলেন যে, যা বরাদ্দ পেয়েছেন তাই শিক্ষকদের দিয়েছেন কম দেওয়ার বিষয়টি প্রশ্ন করলে কৌশলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এড়িয়ে যান। বিষয়টি প্রধান শিক্ষকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। নিম্ন মানের কাঠ ও নিয়ম বর্হিভুত মালামাল এর ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন যে, আপনি আমাকে এসকল প্রশ্ন না করে উপজেলা চেয়ারম্যান স্যারকে প্রশ্ন করুন তিনি এর সঠিক উত্তর দিতে পারেন। কারণ উক্ত বিলের ডি ডি ও স্বাক্ষল করেছেন তিনি নিম্ন মানের কাঠ ও এঙ্গেল তিনি কেন নিয়েছেন তা ছাড়া উক্ত ঠিকাদার তার আপন জামাতা, এব্যাপারে তিনি আর কিছু বলতে পারবেন না। একাধিক ঠিকাদার ও অফিস গোপন সূত্রে জানা যায় যে, উক্ত কাজে ব্যপক অনিয়ম হযেছে উপজেলা ইঞ্জিনিয়র সৎ লোক ও নীতিবান তিনি বিলটি আটকিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু উক্ত সরকার দলীয় ঠিকাদার প্রভাব খাটিয়ে ও ওনার শ্বশুর উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় বিলটি স্বাক্ষর দিতে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার বাধ্য হয়েছেন বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *