টেকনাফে তিন কোটি টাকার ৬০ হাজার ইয়াবা পাচারের মূলহোতা এখনো অধরা
এস.এম হান্নান শাহ,(কক্সবাজার): কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে কোষ্টগার্ডের অভিযানে উদ্ধার হওয়া ৩ কোটি টাকার মূল্যের ৬০ হাজার পিস ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত মূল হোতারা এখনো রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। ঘটনার পর একমাস সময় পেরিয়ে গেলেও ধরাােয়ার বাইরে রয়েছে মামলার এজাহারের মূল পাচারকারী চট্টগ্রামের জি,কে গ্রুপের মালিক চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে তছকির আহমদ(৪০),একই এলাকার মোহাম্মদ ইউনুছের ছেলে রেজাউল কাদের উরফে ইয়াবা মিন্টু ও ইয়াবা পাচারে ব্যবহৃত আল্লার দান নামের ওই ইঞ্জিন নৌকার মালিক আনোয়ারার গহিরা জলিল আহমদের ছেলে ফরিদ আহমদ। চট্টগ্রামের জি,কে গ্র“পের মালিক তছকির আহমদের ভগ্নিপতি হলো রেজাউল কাদের উরফে ইয়াবা মিন্টু। কেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছেনা জানতে চাইলে টেকনাফ থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত)কবির আহমদ বলছেন আসামীদের ধরার চেষ্টা চলছে এবং মামলাটি গভির ভাবে তদন্ত চলছে।
সুত্রে জানা গেছে, ইয়াবাসহ ধৃত ৯ মাঝিমাল্লা টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের জিজ্ঞসাবাদে এ চালানটি চট্টগ্রামের জি.কে গ্রুফের মালিক তসকির আহমেদ ও তার ভগ্নিপতি রেজাউল কাদের ওরফে ইয়াবা মিন্টুর বলে স্বীকার করলে গত ৬ আগষ্ট কোষ্টগার্ড ষ্টেশনের পক্ষে এম মোক্তার হোসেন টেকনাফ থানায় ধৃত ৯ জন সহ মোট ১১ জনের বিরোদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ১টি মামলা দায়ের করেন (যার মামলা নং – ১০ তাং ০৭/০৮/২০১৫)। টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান খন্দকার ঘটনার সত্যতা স^ীকার করে বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে সাগরে একটি মাছ ধরার নৌকায় অভিযান চালিয়ে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৬০ হাজার পিচ ইয়াবার চালান আটক করে কোষ্টগার্ড। এ সময় ৯ পাচারকারীরে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স^ীকাররেক্তিতে চট্টগ্রামের ২ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর নাম ওঠে আসার পর তাদের গ্রেফতারের জন্য কক্সবাজার সহ চট্টগ্রামের প্রশাসনের উ”চ পর্যায়ে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, তাদের গ্রেফতারের জন্য সর্বাধিক চেষ্টা চলছে। এজাহারের বর্ণনা মতে, গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- নৌকার মাঝি মোহাম্মদ আজিজ, হারুন, শফি আলম, নুরুল আলম, হামিদ, আবদুন নুর, মনির, বাবুল ও মহিউদ্দীন, তারা সকলেই আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা। এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ধৃত আসামিরা স^ীকার করেন চালানটি মিয়ানমার থেকে চট্টগ্রামে আনা হচ্ছিল। এগুলোর প্রকৃত মালিক নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকার তোফাজ্জল আহমদের ছেলে তছকির আহমদ (৪০) একই এলাকার মো: ইউনুছের ছেলে রেজাউল কাদের ওরফে ইয়াবা মিন্টুর। ইয়াবা পাচারের ব্যবহৃত আল্লাহর দান নামের ওই নৌকার মালিক আনোয়ারার গহিরা জলিল আহমদের ছেলে ফরিদ আহমদ।
এসএম হান্নান শাহ