রাজবাড়ী জেলায় দৌলতদিয়া যৌন পল্লীতে গার্মেন্টস কর্মীকে বিক্রির সময় ২ জন গ্রেফতার
ঝর্না পারভীন, রাজবাড়ী : গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌন পল্লীতে গত দেড় মাস পূর্বে রবিবার সন্ধ্যায় গামেন্টস কর্মী (২০) কে বাড়ীওয়ালী সুমির নিকট বিক্রির সময় পুলিশ ২ দালালকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর সুমি বাড়ীওয়ালী পালিয়ে যায়। জানাযায়, পটুয়াখালী জেলার বাওফল থানা এলাকার এক যুবতি (২০) ঢাকা মিরপুর-১০ এলাকায় গার্মেন্টেস এ চাকুরী করে। অপর ২ যুবক নিজেদেরকে গার্মেন্টস শ্রমিক হিসাবে পরিচয়ে যুবতির সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। উক্ত যুবতিকে ঈদ উপলক্ষ্যে মোবাইল ফোন উপহার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১শ কিঃ মিঃ দূরে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রয় করে দেয়। এ ঘটনার পর সুমির ঘরে এক খোদ্দের কে দেওয়ার পর যুবতি চিৎকার করে। গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ এএসআই সাগর, এএসআই সাইফুল, সুমির বাড়ী থেকে যুবতিকে উদ্ধার করে এবং ২ আসামীকে ও দালাল কে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামীরা হল গোপালগঞ্জ জেলার মুকছুদ পুর উপজেলার কানুরিয়া গ্রামের আইয়ুব শেখের পুত্র বকুল শেখ (২৫) এবং ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার মেকেরহাট গ্রামের আয়ূবআলী মুন্সির পুত্র আবুল বাসার মুন্সি (২৬)। গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আসামীদেরকে চালান করে। ওসি নাসিরুল্লাহ জানান, মামলার প্রধান আসামী যৌন পল্লির পতিতা সুমি (২৮) পলাতক থাকলেও তাহাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে কে। সুমির মার কাছে জানাযায়, সুমির দেশের বাড়ি খুলনা জেলা লবণচড়া থানাধীন ঘুনা গ্রামের বাসিন্দা। সুমি তার মা খালা ও তাহার দুই বোনকে নিয়ে সুমি প্রায় ১২ বছর যাবত যৌন পল্লিতে যৌন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, সুমি পলাতক থাকলে ও তাহার বিরুদ্ধে সর্বমোট চারচারটি মানব পাচার মামলা রয়েছে বলে যানা যায়। দীর্ঘ দেড় মাস পার হওয়ার পর এ ঘটনার সাথে জড়িত দালালসহ ২ আসামীকে গ্রেফতার করা হলেও ঘটনার মূলহোত সুমি বাড়ী ওয়ালী সকলের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না। উল্লেখ্য ইতিপূর্বের চার চারটি মামলার আসামী সুমি বাড়ী ওয়ালী রাজবাড়ী বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা দিচ্ছে জানা যায়, তবুও ঘটনার মূলহোতা সুমি পুলিশের কাছে রয়েছে পালাতক।