চাঁদপুর বিষ্ণুপুরে বন্যায় ক্ষতিগস্থ নদীর পারের ৩ শত পরিবার অসহায় ॥ ক্ষতি ৩৫ লক্ষাধিক অর্থ

pic-1
মো. জাবেদ হোসেন : চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কানুদী, মনোহরখাদী, মনোহরখাদী আশ্রায়ন প্রকল্প, লালপুর, দামদরদী এলাকার নদীর পারের ৩ শত পরিবার বন্যার পানির কারনে ক্ষতিগ্রস্থ। এ বন্যার পানির কারনে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩৫ লক্ষাধিক অর্থ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গত ২৭ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বের পর্যন্ত হঠাৎ করে বন্যার পানি আসা শুরু করলে নদীর পারের অনেক ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, মাছ চাষের পুকুর পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। এর পর থেকেই এলাকাতে বন্যা নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে, যেকোনো মুহুর্তে এলাকাগুলো বিপদগ্রস্থ হতে পারে। এ নিয়ে দেখা যায় বেশির ভাগ ক্ষতিগ্রস্থ মনোহরখাদীর ২নং ওয়ার্ড আলমগীর মেম্বারের এলাকা ক্ষতি হয়, কানুদী বাজার থেকে খালেক কবিরাজের বাড়ি পর্যন্ত, হযরত আলী মাষ্টারের বাড়ি থেকে নতুন রাস্তা পর্যন্ত, মালেক সরকারের বাড়ি থেকে হাজড়া বাড়ি পর্যন্ত, জনু হাজড়ার বাড়ির মোড় থেকে মনোহরখাদী রাস্তা পর্যন্ত রাস্তা বিলিন হয়ে যায়। রাস্তার পাশে থাকা বিশাল আকাড়ের কড়ই গাছগুলো গোড়া থেকে মাটি সরে পরে যায় যা বন্যার পানিতে ভেসে যায়। বিশেষ করে মনোহরখাদী আশ্রায়ন প্রকল্পের প্রায় ১ শত পরিবার প্রচুর পরিমান অর্থে ক্ষতি হয়েছে এর মধ্যে ১০ টি গরু, তিনটি ছাগল ও বিভিন্ন আসবাবপত্র, এবং ১১ টি বিশাল আকাড়ের মৎস্য পুকুর বন্যার পানিতে ভেসে যায়। এ ব্যাপারে ইউনিয়নের আলমগীর মেম্বার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। অপর দিকে দেখা যায় একই ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের দামদরদীর মেম্বার দুলাল বেপারীর এলাকা বন্যা হওয়ার সাথে সাথে ক্ষতির কবলে পরে। এছাড়া ইকবালের দোকান থেকে ইউছুফ কোড়ালির বাড়ি, রামপুর স্কুল থেকে কেজি স্কুল পর্যন্ত, জাহাঙ্গীর মাষ্টারের বাড়ি থেকে লিয়াকত মাষ্টারের বাড়ি, শুক্কুর মাষ্টারের বাড়ি থেকে আমিনুদ্দীন চোকদারের বাড়ির ১০ টি মৎস্য চাষের পুকুরের বাধ ভেঙ্গে যায় ও ৪০ কানি জমিনে আমন ধানের ফসল এবং ৪টি গরু বন্যার পানিতে ভেসে যায়। এলাকার মানুষ খব কস্টে জীবন-যাপন করছে। এদিকে আরো দেখা যায় লালপুর ৭ নং ওয়ার্ডের লালপুর পাকা রাস্তা থেকে মিজি বাড়ি পর্যন্ত শরিফ মাঝির বাড়ি থেকে মাছের আড়ৎ পর্যন্ত বন্যার সাথে সাথে ২০ ঘরবারি ও ১ টি বন্যার পানিতে বিলিন হয়ে যায়। এদিকে আরো দেখা যায় ৩ নং মৌলভি লঞ্চঘাট থেকে হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত, দামদরদী শরিফ চৌধুরীর বাড়ি থেকে ছিদ্দিক খান বাড়ি. চৌরাস্তা থেকে মধ্যম চৌরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তা, ৭ টি পুকুর সহ বন্যার পানিতে বিলীন হয়ে যায়। এ ব্যাপারে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টুর সাথে আলাপ করলে আমার এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমি প্রত্যেকটি বন্যা কবলিত ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করি এবং আমাকে যারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে তাদের পাশে আমি দাড়িয়ে তাতের ক্ষতি সাধন করার চেষ্টা করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *