চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিনব কায়দায় পাসপোর্ট দালালি, প্রতিনিয়ত হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমান অর্থ ॥ মূল হোতা এডি বিপুল কুমার গো-স্বামী

pic(1) মো. জাবেদ হোসেন : চাঁদপুর জেলার প্রাণকেন্দ্র ওয়ারলেছ দক্ষিন গুনরাজদী এলাকায় অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। এতে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা, গ্রাম থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করতে আসে দৈনিক ৩/৪ শত জন সাধারন জনগন। কিন্তু কিছু দালালের কারনে তারা প্রতারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিনব কায়দায় এডি বিপুল কুমার গো-স্বামী বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গত কয়েকমাস আগে এিেড জাহিদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে ঢাকাস্থ পাসপোর্ট অফিসের ডিজি তাকে বদলী করে দেয়। আর তার পরিবর্তে বর্তমান এডি বিপুল কুমার গো-স্বামীকে পাসপোর্ট অফিস থেকে যেন দালালি কার্যক্রম বন্ধ করা সেই নিয়মনীতি ভাবে চালানোর নির্দেশ দেন। তারপরপরই ১ মে ২০১৫ পাসপোর্ট অফিসে এডি হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পরের কয়েকদিন দালাল মুক্ত থাকলেও বর্তমানে তিনি নিজেই দালাল চক্রের মূল হোতা হিসেবে উক্ত দালালি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর তার সাথে সাথেই নিরব অভিনব কায়দায় চালিয়ে যাচ্ছেন দালালী কার্যক্রম। তার মাধ্যমে উক্ত এলাকার দালালরা বিভিন্ন ভাবে সাধারন জনগনকে হয়রানি করে ও ফুসলিয়ে তারাতারি কাজ করে দেওয়ার নাম করে প্রতিটি পাসপোর্ট এ ১২০০/- টাকা করে নিয়ে যাচ্ছে। সেই টাকা সরাসরি এডি বিপুল কুমার গো-স্বামীর পকেটে চলে যাচ্ছে। সাধারন জনগনের বিবৃতি নিয়ে জানা যায়, আমরা এখানে এসে দালালদের খপ্পরে পরে প্রতারিত হচ্ছি। শুধু তাই নয় আমাদের নিয়ম হচ্ছে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করে ডেলিভারী অফিসে জমা দেওয়া হয় তার পর পাসপোর্ট অফিসের এডি বিপুল কুমার গো-স্বামীর নিজ দালালরা আমাদেরকে ফুসলিয়ে দ্রুত ফাইলটি সই হবে বলে ১২০০ টাকা করে নিয়ে যায় যা এডি’র পকেটে চলে যায়। দৈনিক উক্ত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ৩/৪ শত সাধারন জনগন পাসপোর্ট সই করাতে আসে যেখান থেকে তার দৈনিক (১২০০৪০০=৪,৮০,০০০/-) টাকা ও মাসিক (৪,৮০,০০০৩১=১৪৮৮০০০০ টাকা) আয় হচ্ছে। এভাবে সাধারন জনগনকে বোকা বানিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন এডি বিপুল কুমার গো-স্বামী।
পাসপোর্ট অফিসে অভিনব কায়দার চিহ্ন কূটনৈতিক-
ভিতরের পৃষ্ঠার উপরের দিকে () চিহ্ন এবং ভিতরের পৃষ্ঠার নিচের অংশের ডান বা বাম দিকে ইংরেজি এম চিহ্ন দেখা যায়। আর যেই পাসপোর্ট ফর্ম টাকা ছাড়া অতি কষ্টে সই হয় সেই ফর্মে কোন ধরনের অবাঞ্চিত থাকেনা। এই ফর্মগুলো যদি যাচাই করা হয় তার আসল রুপ বেরিয়ে আসবে।
(বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন পরের সংখ্যায় )

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *