মোল্লাহাটে ডি.কে.কে’র শিক্ষক দম্পতি ও সভাপতির বিচার চেয়ে শঙ্কিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবক
মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : মোল্লাহাট উপজেলার দারিয়ালা কাচনা কুশলা (ডি.কে.কে) মাধ্যমিক বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষক মোল্লা জমির হোসেন ও তার স্ত্রী সহ শিক্ষক পারভিন আক্তার এবং সভাপতি সিকদার তরিকুল ইসলাম’র সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আতœসাত ও শিক্ষার্থীদের সাথে অশ্লিল আচারনের ঘটনায় অভিযোগ করে দ্রুত প্রতিকার না পাওয়ায় এবং অভিযুক্তদের হুমকি-ধামকিতে শঙ্কিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন অভিযোগকারী গণ/এলাকাবাসী।
মোল্লা আলমগীর হোসেন, শিকদার রাজা মিয়া, শেখ আলমগীর, ভুঁইয়া শুকুর উদ্দিন, সুক মিয়া, সজল সরদার ও আকবার হালদার সহ ৬৩ জন অভিভাবক স্বাক্ষরিত অভিযোগ গত ২৯/০৬/১৫ ইং শিক্ষামন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে জমা দেয়া হয়। ওই অভিযোগে প্রকাশ-প্রধান শিক্ষক মোল্লা জমির হোসেন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এলাকার প্রভাভশালী হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে হিন্দু শিক্ষকদের বিদ্যালয় ছেড়ে যেতে বাধ্য করে ৭টি পদে অদক্ষ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করে পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন। ২০১৫ ইং সনের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের থেকে বোর্ড নির্ধারিত ফি ছাড়া ৪ গুন টাকা অতিরিক্ত আদায় এবং চলতি সনের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষায় সকল শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থী’র থেকে বিভিন্ন অযুহাতে বিনা রশিদে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে। এছাড়া কোন গরীব শিক্ষার্থী অতিরিক্ত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদেরকে বিদ্যালয় ছেড়ে যেতে বলেন ওই প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রী। গত ০১/০৬/১৫ ইং অভিভাবক মহল ওই সকল ঘটনার প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে ০৬/০৬/১৫ ইং অত্র উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের পরীক্ষা বন্ধ রাখে। পরে শিক্ষক সমিতির নেতারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে পরীক্ষা বন্ধের আন্দোলন প্রত্যাহার করলে পরের দিন থেকে যথারীতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগকারী গণ বলেন-সম্পূর্ণ সত্য-স্বঠিক অভিযোগ করা সত্বেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ দ্রুত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এবং অপরাধীদের হুমকি-ধামকিতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিযোগকারী গণ। ওই সকল অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোল্লা জমির হোসেন বলেন-তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কিছু হবেনা, কর্তৃপক্ষ’র সঙ্গে তার কথা হয়েছে।