চিতলমারীতে ঘুমন্ত শিশুকে কুপিয়ে হত্যা
মুন্সী দেলোয়ার হোসেন, (চিতলমারী): স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের জের ধরে ১৮ মাস বয়সী মিমরা আক্তার নামের এক ঘুমন্ত শিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ঘাতক মা’কে পুলিশ আটক করেছে। এছাড়া নিহত শিশুটির পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ রক্তমাখা একটি ছুরি ও শিশুটির লাশ উদ্ধার করে মর্মে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার এস,আই ফিরোজ আলম বাদী হয়ে দু’জনকে আসামী করে ওই দিন ১৩ নং একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই নির্মম হত্যাকান্ডটি ঘটেছে চিতলমারী উপজেলার চর চিংগড়ী গ্রামে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, চিংগড়ী গ্রামের আ: হাকিমের ছেলে মেরাজ শেখ (২৪) ও একই গ্রামের প্রতিবেশি আইয়ুব আলী শেখের মেয়ে নাজমা আক্তার (২২) এর সাথে ৬/৭ বছর পূর্বে শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল। এর মধ্যে তাদের দু’টি সন্তান মুস্তাইন শেখ (০৫) ও নিহত ১৮ সামের মিমরা আক্তার জন্ম গ্রহণ করে। এ অবস্থায় স্বামী স্ত্রীর বিরোধ চরম আকার ধারন করে। এক পর্যায়ে স্বামী মেরাজের বিরুদ্ধে স্ত্রী আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। ফলে তাদের মধ্যে বিরোধ তীব্র আকার ধারন করে। এরই রেশ ধরে গত ২৩ আগস্ট রাত ১১.৩০ মিনিটের সময় শিশু কন্যা মিমরাকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। শিশুটির বুকে ও পেটে দু’টি কোপের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পরষ্পর বক্তব্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মেরাজ দাবী করেন, এ হত্যাকান্ড তার স্ত্রী নাজমা তাকে ফাসানোর জন্য ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবেশীরা জানান, ওই দিন রাতে স্বামী-স্ত্রী পাশাপাশি খাটে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় শিশু মিমরা তার মায়ের কাছে ছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাজমা পাশের বাড়িতে ছুটে গিয়ে খুন হয়েছে বলে চিৎকার করে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ নাজমা ও তার স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ বাদী হয়ে দু’জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে এবং ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ ব্যাপারে ওই এলাকার বাদশা মেম্বর জানান, নাজমা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পরদিন সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন। হত্যাকান্ডটি নিয়ে এলাকায় নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।