বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলারসহ ২০ জেলে অপহরণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আহরণ কালে ফিশিং ট্রলারে দু’দফা হানা দিয়ে বাগেরহাটের শরণখোলার একটি ট্রলার ও তিন জেলেসহ অন্তত ২০ জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত তান্ডব চালিয়ে জেলেদের আহরিত মাছসহ বিভিন্ন মালামাল লুটে নেয় দস্যুরা। রোববার রাত থেকেই কোস্টগার্ড পশ্চিম ও দক্ষিণ জোনের তিনটি দল অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে সুন্দরবনে অভিযান শুরু করেছে বলে কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে।
জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের নারিকেলবাড়িয়া ও পক্ষীর চর সংলগ্ন সাগরে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেক জেলের মুক্তিপণ হিসেবে এক লাখ টাকা করে দাবি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শরণখোলার ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন জানান, দস্যুরা উপজেলার রাজেশ্বর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. জলিল পহলানের এফবি বিসমিল্লাহ ট্রলারসহ ওই ট্রলারের মাঝি বাবুল মুন্সী (৪২), মিস্ত্রি সাখাওয়াত হোসেন (৩৫) ও একই গ্রামের আফজাল পহলানের এফবি মাহিনূর ট্রলারের জেলে সোবহান শিকদার (৫৫), মাঝি সেলিম পহলানকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ সময় অন্যান্য ট্রলার থেকে আরো কয়েক জন জেলে নিয়ে গেছে বলে ফিরে আসা জেলেরা জানায়। এক লাখ টাকা করে প্রত্যেকের মুক্তিপণ ধার্য্য করেছে দস্যুরা। অপহৃত অন্য জেলেদের বাড়ি বাগেরহাট, পাথরঘাটা ও স্বরূপকাঠি এলাকার বলে জানিয়েছেন তিনি। বরগুনা জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আঃ মান্নান মুঠো ফোনে জানিয়েছেন, পাথরঘাটা এলাকার ৭-৮ জন জেলে অপহরণের খবর তিনি শুনেছেন। তবে তাদের নাম পরিচয় জানাতে পারেন নি। তবে তিনি বিভিন্ন এলাকার ২০ জেলে অপহরণের কথা জানিয়েছেন। কোস্টগার্ড মংলা পশ্চিম জোনের কমান্ডার হাসান জানিয়েছেন, অপহৃতদের উদ্ধারে কচিখালী, সুপতি ও দক্ষিণ জোনের পাথরঘাটা কন্টিনজেন্টের তিনটি টিম রোববার রাত থেকে সুন্দরবনসহ সন্নিহিত এলাকায় অভিযান শুরু করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫ টা) উদ্ধারের কোন খবর পাওয়া যায়নি।