– ডাইনামিক ওয়েব সাইটের নামে প্রতারণা চলছে, জেগে ঘুমাচ্ছেন হরিণাকুন্ডুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষকগণ, মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন
এস.এম. সোপেন রেজা: সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আধুনিকায়ন ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ডাইনামিক ওয়েব সাইট করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যারই ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের স্বারক নং-২০৯২৪/১০ জিএ, ৩০ এপ্রিল ২০১৫ তারিখের নির্দেশনা প্রদান করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নামে ডাইনামিক ওয়েব সাইট করতে হবে। শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা ছিল গত ৩০/০৫/২০১৫ তারিখের মধ্যে ওয়েব সাইটের ঠিকানা জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে অধিদপ্তর কে অবহিত করার জন্য। কিন্তু কতিপয় প্রতারকের কারণে প্রধান শিক্ষকগণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা দিয়েও ওয়েব সাইট বুঝে পায়নি। আবার কোন কোন শিক্ষক সাব-ডমেন এর ওয়েব সাইট জমা দিয়েছে, যা শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনার পরিপন্থী। এছাড়াও কতিপয় শিক্ষক ওয়েব সাইট বুঝে নেওয়ার কিছু দিন পর উক্ত ওয়েব সাইট বন্ধ হয়ে যায়, তখন শিক্ষকগণ যে ব্যক্তিরা ওয়েব সাইট করেছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করেও কোন ফল হয়নি। এভাবেই চলছে বাংলাদেশের ডাইনামিক ওয়েব সাইট এর কার্যক্রম। কতিপয় শিবিরের মেধাবী নেতারা বাংলাদেশ সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগকে সফল না করতে দেয়ার লক্ষ্যে অবৈধভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে শিক্ষদের নিকট থেকে নগদ টাকার বিনিময় ওয়েব সাইট করছে, কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে উক্ত ওয়েব সাইট বন্ধ করে দেয় তারা। যার ফলে চরম বিপাকে পড়ে শিক্ষকগণ। এই সকল সমস্যার মূল কারণ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসারে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওয়েব সাইট না করা, শিক্ষকগণ না বুঝে ব্যক্তি দ্বারা ওয়েব সাইট করায় উক্ত সমস্যায় পড়েছেন। স্থানীয় ব্যক্তি, ছাত্র, প্রভাবশালী নেতা, নতুন কোম্পানী ও লাইসেন্স বিহীন কোম্পানী/প্রতিষ্ঠান দ্বারা কাজ করিয়ে উক্ত সমস্যায় পড়ছে শিক্ষকগণ। যাই হোক ফিরে আসি মূল কথায়- সম্প্রতি সময়ে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলায় উক্ত সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষকগণ। আমাদের রিপোর্টার বিভিন্ন শিক্ষকগণের সাথে যোগাযোগ করে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অপরাধী হলো মোঃ আলাউদ্দিন মোড়ল (৫৪), রুনু বেগম(৪৪), জাহিদ হোসেন(৩৫), ছাবদার হোসেন(৪২) তারা স্বনির্ভর সোনার বাংলা লিঃ এর রশিদ দিয়ে বিভিন্ন্ প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা গ্রহণ করেছে।কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট বুঝিয়ে দেয়নি। এ বিষয়ে আমরা শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে স্বনির্ভর সোনার বাংলা লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নাম্বার নিয়ে কথা বলি,তিনি আমাদের জানান উক্ত চার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আর্থীক অনিয়মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা কেউ এখন আর স্বনির্ভর সোনার বাংলা লিঃ এর কর্মী নয়। এমডি আমাদের আরো জানায় উক্ত কোম্পানীর সকল লেনদেন ব্যাংকে করা হয় উক্ত চার প্রতারকের লিডার প্রতারক মোঃ আলাউদ্দিন ঢাকা অফিসের ম্যানেজার ছিলেন। স্বনির্ভর সোনার বাংলা লিঃ এর পক্ষ থেকে শিক্ষা অফিসারকে জানন তারা বহিষ্কারকৃত কর্মী। তারা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ টাকা গ্রহণ করলে তার দায়ভার কোম্পানী নিবে না। আমাদের রির্পোটার শিক্ষা অফিসারের নিকট জানতে চায় শিক্ষকরা যদি ওয়েব সাইট না পায় তাহলে কারা দায়ী হবে তার কোন সদুত্তর মিলে নাই। তাহলে শিক্ষা অধিদপ্তর এর নির্দেশনা মানা হলোকি ? শিক্ষকরা কবে পাবে ওয়েব সাইট কেউ-কি তাদের পাশে থেকে উক্ত সমস্যা থেকে তাদের উত্তরণের জন্য কাজ করবে না ? আমাদের কাছে এক শিক্ষক বলেন শিক্ষা অফিসার আমাদের মিটিং ডেকে জানান উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ করতে। তাহলে মোঃ আলাউদ্দিন মোড়ল সহ ঐ প্রতারকদের সাথে শিক্ষা অফিসারের কি সম্পর্ক ? কি রসদ পেয়ে শিক্ষা অফিসার জেগে জেগে ঘুমাচ্ছেন ? (ধারাবাহিক পর্ব ০১ )