চাঁদপুরের মতলব শহরে বিদ্যালয়ের সামনে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ
মো.খোরশেদ আলম, চাঁদপুর প্রতিনিধি: মতলব পৌর এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে স্তুুপ করে রাখা হয়েছে। ফলে এ থেকে উৎকট দুর্গন্ধের কারণে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং পথচারীরা মুখে রুমাল বা নাক চেপে যাতায়ত করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পৌরসভা এলাকার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাস্টবিনের অপ্রতুলতায়, শহরের বাসা-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনা ঐ স্কুল দুটির সম্মুখে ও রাস্তার ওপর যত্রতত্র স্তুপ অবস্থায় পড়ে থাকে। মতলব পৌর এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে মতলবগঞ্জ জে বি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশের একমাত্র গেটের ভেতরেও প্রকাশ্যে বাজারের বিভিন্ন লোকজন এসে মূত্র ত্যাগ করতে দেখা যায়। কিন্তু এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক সবাই নিশ্চুপ। অপরদিকে মতলবগঞ্জ জে বি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা পাশে ময়লা-আবর্জনা স্তুপ করছে এবং মূত্র ত্যাগ করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির তেমন কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তবে একটি সাইন বোর্ড ঝুলিয়েছে। সাইন বোর্ডে লেখা হয়েছে ‘এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা নিষেধ’। কিন্তু তাদের এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই প্রতিনিয়ত বাজারের হোটেল রেস্তোারাঁসহ বাসা-বাড়ির ময়লা আবর্জনা স্তুপ করছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ময়লা আবর্জনাগুলো পৌরসভার ময়লাবহনকারী গাড়ি দিয়ে নিয়মিত তুলে নিয়ে সরানোর হলে ওই স্থানটি পরিস্কার থাকতো। আর তা না করার কারণে এছাড়া ওখানে পথচারী, দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষজন মূত্র ত্যাগ করছে। এতে ছড়াচ্ছে নানা ধরনের রোগজীবানু। দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। তরপরও নিরুপায় হয়ে নাকে ও মুখে রুমাল কিংবা কাপড় চেপে ওইসব ময়লা-আবর্জনার পাশ দিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন পেশার হাজার হাজার মানুষজন যাতায়াত করছে। পৌরসভার সদর (৩নং) ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিশোর কুমার ঘোষ জানান, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই রাস্তাঘাটের এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ অপসারণ করছি। বিদ্যালয়ের মূল গেটে কেউ যেন যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলতে না পারে তার জন্য পৌরসভা থেকে সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে। এখন বাজারের কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনা কেউ ফেলছে না। তবে বাসা-বাড়ি থেকে কেউ কেউ এখানে ময়লা ফেলছে।