কাজিরহাট-নাজিরহাট সড়ক বন্যা গেলেও যায়নি দূর্ভোগ

CTG-Fatickchari (ROAD PHOTO1) 24.08.2015শওকত হোসেন করিম,ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা: ফটিকছড়ি উপজেলার কাজিরহাট-নাজিরহাট এলজিইডি সড়কটির হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের ফটিকছড়ি খালের উত্তর পাশে প্রায় ৬০ ফুট সড়কের কার্পেটিং ওঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ভারী বর্ষণে সৃষ্ট দুই দফা বন্যায় এই পরিণতি হয়েছে। সড়কের ইটের কনা, বালি পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে ধানের জমি নষ্ট করে দিয়েছে। এই সড়কের পথচারী বোরহান উদ্দীন বলেন, বন্যা গেলেও যায়নি দূর্ভোগ। গত রমজান ঈদের আগে বন্যার পানিতে সড়কটি ভেঙ্গে ধানী জমিতে মিশে গেছে। দীর্ঘ ২ মাস হলেও সড়কটি সংস্কারে কারো মাথাব্যাথা নেই।সরজিমনে গিয়ে জানা যায়, ভারী বর্ষণে পাহাড়ি পানির ঢলে সড়কের পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ি খালের পাড় ভেঙ্গে সড়ক দিয়ে পানি গড়াতে থাকলে সড়ক ভেঙ্গে বড় বড় এসব গর্তের সৃষ্টি হয়। প্রতিবার বন্যার সময় এই জায়গায় সড়ক মিশে যায় ধানী জমির সাথে। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হারুয়ালছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে কয়েকবার সংস্কার করেছি। কিন্তু এই দশা প্রতিবারের। উপজেলার ভূজপুর থানাধীন ৬টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়ক এটি। এই সড়ক দিয়ে প্রায় হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করত। এখন দুই চাকার যান ছাড়া কোন যানবাহন চলতে পারে না। সেখানে একটি কালভার্ট নির্মাণ জরুরী। ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, কাজিরহাট-নাজিরহাট সড়কটির ভাঙ্গা জায়গায় পাথর দিয়ে শক্ত করে কার্পেটিং করতে হবে। এই রিপোর্ট জেলা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *