নাজিরপুরে “সূর্যের হাসি ক্লিনিক” দূর্ণীতিতে ভরপুর
মোঃ নুরুল্লাহ আল আমিন(জেলা ব্যুরোচিপ, পিরোজপুর):পিরোজপুর জেলাধীন নাজিরপুর উপজেলায় সিআরসি নামক এনজিও যাহা টঝঅওউ অর্থায়নে পরিচালিত। এনজিওটি টঝঅওউ এর অর্থ আত্মস্বাৎ, অনিয়ম ও দূর্ণীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত ২৮/০৭/২০১৫ইং তাং পিরোজপুরে ‘জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি’ এর অফিসে সিআরসি নামক এনজিও কর্তৃক পরিচালিত “সূর্যের হাসি ক্লিনিক”এর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আসে। অভিযোগে বলা হয়, নাজিরপুর উপজেলার সূর্যের হাসি ক্লিনিক এর চিকিৎসা সেবা সম্পূর্ণ ভূয়া। ভিজিটরদের দেখানোর জন্য বিভিন্ন ভূয়া নাম দিয়ে মানি রিসিট তৈরি করা হয়। গর্ভবতীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার নামে যে তালিকা তৈরি করা হয় তা সম্পূর্ণ মিথ্যাও বানোয়াট। সিএসপি হিসেবে শুসমিতা মন্ডল, মুন্নী বেগম, মাকুল বেগম, শিল্পী বেগম, সুমাইয়া বেগম এবং হেনা বেগম এই ৬ জনের নামে বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছে। পিরোজপুর সদরে যাদের নামে সিএসপি হিসেবে বেতন ভাতা উত্তোলন করা হতো, বর্তমানে নাজিরপুরেও একই নামে বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছে। এরা সকলেই পিরোজপুরে বসবাস করে। সার্বিস প্রমোটর সিমা হালদারকে দিয়ে সিএসপিদের স্বাক্ষর জাল করে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন। প্রকৃতপক্ষে ঐ ৬ জনের কেউ বেতন ভাতা পায়না। ক্লিনিক পরিচালনার উপকরন ক্রয়করার নামে ভূয়া ভাউচার করে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। গণস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ৬ মাসের প্রশিক্ষন প্রাপ্ত একজন নার্স নিয়ে ভিজিটরদের দেখানোর জন্য ভূয়া প্রেসক্রিপশন করে রাখা হয়। যা সম্পূর্ণ অবৈধ কিন্তু প্রেসক্রিপশনের বিপরীতে কোন রোগী পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন দিবস উদযাপ্পন ও সভা-সেমিনারের নাম ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে প্রচুর অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। বাস্তবে কিছুই হয় না। উক্ত অভিযোগ সহ আরো বেশ কিছু অভিযোগ আসে। যাহার সত্যতা যাচাই করার জন্য জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি এর একটি টিম গত ইং ২০/০৮/২০১৫ তারিখে নাজিরপুর সূর্যের হাসি ক্লিনিকে পরিদর্শন করে। সেখানে ম্যানেজার তাইজুল ইসলাসকে পাওয়া যায় নাই। প্যাড়ামেডিক সিমা মন্ডল কে ভুয়া রিসিট সহ পাওয়া গেছ এবং টিমকে দেখা মাত্র অন্যান্য কর্মীরা পিছন থেকে পালিয়ে যায়। আলাপ আলোচনার পরে সিমা মন্ডল দূর্নীতির সত্যতা স্বিকার করে ম্যানেজার তাইজুল ইসলাম এবং ঈজঈ আলি হোসেন কে এই ব্যাপারে দায়ী করেন। পরবর্র্তিতে ম্যানেজার এবং ঈজঈ কে ফোনে উক্ত বিষয় মতামত জানতে চাইলে ম্যানেজার কাপা কাপা কন্ঠে বলেন, ভুল তো মানুষেই করে তাই যদি কোনও ভুল ত্র“টি থাকে তাহলে তা সুর্দ্রে নেয়া হবে এবং ঈজঈ বলেন, আমি চেয়ারম্যান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অফিসের ঠিকানা চাইলে তিনি বলেন, আমার কোন অফিস নাই। আমার কোন চেয়ার নাই। আমরা মানবাধিকার ও সাংবাদিকদের ভয় পাইনা।দূর্নীতি হলেও তারা কিছু করতে পারবে না। পরে কথা বলব, বলে মোবাইলের লাইন কেটে দেয়। এক জন চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি সদাচরন না করে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যদেন। নাজিরপুর ক্লিলিনিকের আশে পাশে জিগ¦াসা করা হলে তারা বলেন, এই ক্লিনিকে কি করা হয় তা আমরা কিছুই জানিনা। গ্রামের অসহায়, গরীব মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদানের নামে সূযের হাসি নামক ক্লিনিকটি টঝঅওউ এর মাধ্যমে গুটি কয়েক মানুষ টাকা আত্মসাৎ করছে। যাহা বর্তমান সরকারের নজরে আসা একান্ত দরকার।